এই গল্প রূপকথারও বেশি। ২০০৩ সালে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী মানুষ ছিলেন সউদী আরবের নাগরিক খালিদ বিন মোসেন শারি। ওই সময় খালিদের ওজন ছিল ৬১০ কেজি। ওই অবস্থায় টানা তিন বছর বিছানা থেকে উঠতে পারেননি যুবক। খাওয়া থেকে প্রাতঃকৃত্য সবই করতে হত বিছানাতে, অন্যের সাহায্যে। কার্যত ক্রমশ মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছিলেন খালিদ।
এক সময় তার পাশে দাঁড়ান সউদী বাদশাহ আবদুল্লা। যার পর একটি জটিল চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে ৫৪২ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন ওই যুবক। এও সম্ভব?
বাদশাহ আবদুল্লা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খালিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সউদীর জাজেনে বাড়ি যুবকের। চিকিৎসার জন্য তাকে রিয়াধের কিং ফাহাদ মেডিক্যাল সিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের বিশেষ ধরনের শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেহেতু ৬১০ কেজির খালিদের একচুল নড়চড়ার ক্ষমতা ছিল না। ৩০ জন চিকিৎসকের একটি দল গঠন করা হয় বিরল রোগের চিকিৎসার জন্য। ডাক্তারদের পরামর্শ মতো তৈরি হয়েছিল খাদ্যতালিকা বা ডায়েট।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অস্ত্রোপচার, বিশেষ খাদ্যগ্রহণ, শরীরচর্চা এবং মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রক্রিয়াতেই ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে খালিদের। শেষ পর্যন্ত ৫৪২ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। বর্তমান সুস্বাস্থ্যের অধিকারি খালিদ। ‘ফিট ম্যানে’র ওজন এখন মোটে ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম। সত্যিই এই গল্প রূপকথারও বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :