দুর্নীতির জালে আটকা ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২১, ৬:২৯ পূর্বাহ্ন
দুর্নীতির জালে আটকা ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ যেন ছাড়ছেই না ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার সভাপতিদের। দুর্নীতির দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করা সেপ ব্লাটারের পর আশার বানী শুনিয়ে সভাপতির পদে বসে ছিলেন সুইস ফুটবলের অন্যতম প্রশাসক জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এবার ফেঁসে যাচ্ছেন তিনিও। নিজ দেশ সুইজারল্যান্ডে ফৌজদারি মামলা হয়েছে ফিফার সর্বোচ্চ কর্তার বিরুদ্ধে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলায় অর্থের ছড়াছড়ি কেমন সেটা আন্দাজ করাও মুশকিল। মেসি-রোনালদোদের দিকে তাকালে কিছুটা অনুমান করা যায়। আর একেকটা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন দেখলেও কিছুটা টের পাওয়া যায়। একটা বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে কি পরিমান অর্থ খরচ করতে হয় সেটি শুনলে মাথা ঘুরে যাবে যে কারো। বিশ্বকাপ শেষে তার বহুগুণ অর্থ তুলে নেয় আয়োজকরা। ফিফা সভাপতিদের কাছে তাই সদস্য দেশগুলো দ্বারস্থ হয় বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ করে দিতে। আর এই লোভটাই সামলাতে পারেননি ব্ল্যাটার।

এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার উত্তরসূরী ইনফান্তিনোর নামেও। যদিও এবারের ঘটনা ভিন্ন। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। সেখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। তদন্তের ব্যাপারে ২০১৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল লাওবের সঙ্গে বার্নের এক হোটেলে গোপন এক বৈঠকে বসেন ফিফা বস জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এরপর এই তিন বছরে আরো দুই বার সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেন এই ফুটবল প্রশাসক। কি এমন গোপন বিষয়। বৈঠকে কি আলোচনাই হয়েছে? গুঞ্জণ উঠছে নানা। তবে এখনো জানা যায়নি এই দুই কর্তার মাঝে আসলে কি আলোচনা হয়েছে।

তবে দুর্নীতির তদন্তে যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে তা এখন অনেকটা পরিষ্কার। সম্প্রতি এই তদন্তের প্রেক্ষিতে ইনফান্তিনোর সাথে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের গোপন বৈঠকের কারণে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল লাওবেকে। বেআইনি কর্মকান্ডের প্রমাণ পাওয়ায় গেলো সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগও করেন তিনি। তার পদত্যাগের পর বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয় সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস। বিষয়গুলো তদন্ত করে নতুন প্রসিকিউটর স্টেফান কেলার ফৌজদারি মামলা করার অনুমতি চায়। কারণ এই দুই কর্তার বৈঠকে দুর্নীতির আভাস পাওয়া গেছে। তার প্রেক্ষিতেই মামলা হলো দুজনের বিরুদ্ধে।

মামলার ব্যাপারে আদালত জানায়, ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে চলা এক তদন্তে মিথ্যা বলে জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যা ছিল তার বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ। যদিও, এসব বিষয়ে আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছন দুই কর্তা। এর আগে ২০০৯ সাল থেকে উয়েফার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসার পর ২০১৬ সাল থেকে ফিফা সভাপতির আসনে বসে আছেন এই সুইস প্রশাসক। এখন দেখার পালা এই তদন্তের সমাপ্তি হয় কোথায়! নাকি সেপ ব্ল্যাটারের মতো দুর্নীতির দায়ে তাকেও ছাড়তে হয় সভাপতির পদ। তার সিদ্ধান্ত অবশ্য দিবে সুইস আদালতই।

2021-01-30 06:29:31

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: