নিশ্চয় কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এটি আশা করে না যে, সরকারি চাকুরীজীবী পিটাও আন্দোলন হউক, নিশ্চয় এটা ঘৃণার কাজ, সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলবার মত কাজ, এই কাজ দিয়ে সমাজের প্রতি স্তরে একটা অন্যায় জুলুম এর অবস্থা বিরাজ করে, করবে।
তাহলে কি বর্তমানে বাংলাদেশে অন্যায় জুলুমের রাজত্ব চলছে না? বাংলাদেশের মানুষ কি শান্তিতে বসবাস করছে? যদি বাংলাদেশে অন্যায় জুলুম চলেই থাকে, তবে এই অন্যায় জুলুমের মূল উৎস কোথায়? সেটি খুঁজে বের করা জরুরী। বাংলাদেশে যে অন্যায় জুলুম চলে সেটি কি সাধারণ জনগণ করে নাকি মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ প্রশাসনের মদদে এই অন্যায় জুলুম চালায়? নাকি রাষ্ট্র পরিচালনার যে আইন কানুন তার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অন্যায় জুলুম চালু থাকার সকল ব্যবস্থা?
আজকে প্রেস ক্লাবের সামনে যে শিক্ষক গন তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে বসেছেন তাদেরই পেটাচ্ছে সেই সরকার যে সরকারকে নির্বাচিত করতে তারা অন্যায় করে ভোট এর বাক্সো ভরেছিলেন। সে তারা নিজেরদের চাকুরী বাঁচাতেই করুক আর সুবিধা পাবার আশায় করুক। অন্যায় অন্যায়েরই জন্ম দেয়।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষদের রাষ্ট্র যত দ্রুত এবং সহজে অন্যায় জুলুমের কাজে নিয়োজিত করতে পারে অন্য মানুষদের বেলায় সেটি পারে না। রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে জড়িত এই লিখা-পড়া জানা মানুষ গুলি জেনে বুঝে কেন রাষ্ট্রের জুলুম চালাবার হাতিয়ার হয়; আর এই লিখা-পড়া জানা বুঝা মানুষগুলি কেন রাষ্ট্রের জুলুম নিপীড়কের হাতিয়ারে পরিণত সে ভাবনা আমলে নিলেই রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থার ভেতরে যে জুলুম চালাবার প্রাণ ভ্রমরা তার হদিস / ঠিকানা পাওয়া যাবে।
“মানুষ গড়ার কারিগরদের” গায়ে হাত তুলবার আগে রাষ্ট্র ব্যবস্থা তার ক্ষমতার দাপটে একবারও ভাববার সময় পায় নাই তারা কাহাদের গায়ে হাত তুলছে। এদেরই ঘাম রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্র ভুলে গেছে যে, রাষ্ট্র কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে না, অন্যের গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আত্তীকরণ করে মাত্র।
খুব দ্রুত শিক্ষকদের কাছে রাষ্ট্র ব্যবস্থা করজোরে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে নিবে এটাই প্রত্যাশা। কারণ শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলবার বিষয়টা হাতে খড়ি পাওয়া প্রতিটি মানুষ আমলে নিয়েছে। রাষ্ট্র যেন ভুলে না যায় যে, রাষ্ট্রের আর সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর মত শিক্ষকরা নন।
আদীল হোসেন
লেখক ও বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :