প্রবাসিদের উপর অর্পিত কালো আইন প্রত্যাহার ও রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন 


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৩, ২০২৪, ১০:০৩ অপরাহ্ন
প্রবাসিদের উপর অর্পিত কালো আইন প্রত্যাহার ও রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন 

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিননিদন জানিয়ে প্রবাসিদের উপর অর্পিত কালো আইন প্রত্যাহার ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় দূতাবাসগুলোর সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি বাংলাদেশি লেখক ও সাংবাদিকদের বৃহত্তম সংগঠন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।

আজ ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) সংঠনের সভাপতি মোহাম্মাদ আবদুল মতিন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রবাসীদের জন্য একটি পাসপোর্ট কতোটা জরুরি, সেটা যারা সংকটে পড়েছেন কেবল তারাই বুঝবেন। বিদেশে পাসপোর্ট মানেই বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। ভিসা নবায়ন, ওয়ার্ক পারমিট থেকে শুরু করে সব কাজে এই পাসপোর্টের প্রয়োজন। এমনকি দেশে ফিরতেও এই পাসপোর্টের কোনো বিকল্প নেই। পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পেরে বৈধতা হারাচ্ছেন অনেক প্রবাসী। পাসপোর্ট সেবার মান নিয়ে প্রবাসীদের ভোগান্তির অভিযোগ বহু পুরনো। কিন্তু তাই বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবাসে পাসপোর্ট নবায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন নজীর অতীতে হয়নি। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সেটাও হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই ঘটনা নিশ্চয়ই লজ্জার।

বিশেষ করে যেসব প্রবাসি রাজনৈতিক আশ্রয় এবং রিফিউজি স্টাটাসে রয়েছেন তাদের পাসপোর্ট নবায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, তারা যদি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেন তবে তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করা হবে।স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কেন একজন প্রবাসিকে পাসপোর্ট পেতে দূতাবাসে মাসের পর মাস ঘুরতে হবে? বাংলাদেশের নাগরীক হয়ে কেন একজন প্রবাসি তার দেশের পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেনা? এক কোটিরও অধিক অভিবাসী বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান বাংলাদেশ, যা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখে। তার পরেও কেন প্রবাসিদের হয়রানি করা হবে? তাই অবিলম্বে এই অঘোষিত কালো আইন প্রত্যাহার করে পাসপোর্ট নবায়ন চালুর আহব্বান জানান তারা।

সাংবাদিক নেতারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো দলীয়করণ ও দূর্নীতির আখরায় পরিণত করা হয়েছে। সরকারের স্বেচ্চাচারিতা, পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত রয়েছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। যার ফলে প্রবাসীরা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানিতে। দূতাবাসগুলোকে মনে যেন আওয়ামি লীগের দলীয় কার্যালয়। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসগুলো সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: