

আমরা রাজনীতিবিদদের পাওয়াটা দেখতে পাই- ক্ষমতা, বাড়ি, গাড়ি, প্রতাপ। কিন্তু আমি সবসময় অনুভব করি, এই কিছুর বিপরীতে কী ভয়ংকর ব্যক্তিগত ত্যাগ করতে হয়।
খুব সাধারন অবস্থায়ও প্রচন্ড স্ট্রেস নিতে হয়, পারসোনাল লাইফ স্যাক্রিফাইস করতে হয়, পরিবারকে সময় দেওয়া অলীক কল্পনা।
কিন্তু একেবারে দলের প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব স্যাক্রিফাইস করার সেরা উদাহরণ সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে তার সাথে মেলানো যাবে না।
শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকে নিজেকে এই লাইফের জন্য তৈরি করেছেন, তিনি জেনে বুঝেই বড় হয়েছেন যে, তাকে বাবার লিগাসি অনুযায়ী পাবলিক লাইফ লিভ করতে হবে।
কিন্তু খালেদা জিয়া? এক পরম বিষ্ময়।
সাবালিকা হয়ে ওঠার আগেই তিনি সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রী। পলক ফেলতে না ফেলতেই তিনি সেনাপ্রধান, তথা রাষ্ট্রপ্রধানের সহধর্মিণী। এই মানুষটার মাঝ বয়স হওয়ার আগে জানারই কথা না, সাধারণ জীবন কেমন জিনিস।
আমরা যারা সিভিল মানুষ, আমরা ঠিক কল্পনা করতে পারবো না, একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী আসলে কতোটা সৌখিন জীবন চাইলে কাটাতে পারেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুদর্শণা, সাতেপাঁচে না থাকা ফার্স্ট লেডি।
অথচ একটা দিনের ব্যবধানে তিনি সুতির কাপড় পরে দুটি সন্তান নিয়ে রাস্তায়।
এ সময় খালেদা জিয়ার সামনে অনায়াসে দুই ছেলেকে নিয়ে বিদেশে কোথাও নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটানোর সুযোগ ছিলো। সেটাই হয়তো স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু তিনি খুবই, খুবই অস্বাভাবিক এক অচেনা জীবন বেছে নিলেন বিএনপি, রাজনীতি বা দেশের জন্য।
এই জীবনে তিনি কখনো না দেখা কাদার রাস্তায় হেটেছেন, কখনো না শোনা হীনতার শিকার হয়েছেন, কখনো ফেস না করা পরিশ্রম করেছেন।
হ্যা, বিনিময়ে ক’বার সিংহাসনে বসেছেন। তার চেয়ে বেশি প্রাণ বিপন্ন করা জেল জীবন পেয়েছেন।
দফায় দফায় পালানোর বা সব ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও জেলের অন্ধকারকেই বেছে নিয়েছেন, নিজেকে মানুষের মাঝে রাখার জন্য। নিশ্চিত কারাগার জেনেও দেশে ফিরে এসেছেন।
একটি সন্তানের শরীর পিটিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; তাকে দেখারও উপায় নেই। আরেকটি খেলাপাগল সন্তান ভিনদেশে বসে প্রাণ হারালেন। নিজের শরীরে ভয়ানক সব রোগ। শ্বাস নিতে পারেন না, হাটতে পারেন না, কথা বলতে কষ্ট হয়। তবু তিনি দেশ ছেড়ে যেতে রাজী হননি। জেল বেছে নিয়েছেন!
শি চুজ আ সাফারিং ফর হার পিপলস।
এই সর্বশেষ যখন তারেক জিয়ার কাছে থেকে সুস্থ হলেন; তখন তো না ফিরলেও পারতেন। বাকী ক’টা দিন বিলাতের চিকিৎসা আর নিরাপদ জীবনে থাকতে পারতেন।
কিন্তু মৃত্যু হাতছোয়া দূরত্বে জেনেও ফিরে এসেছেন এবং সাফার করেছেন। শুধু জানতেন- তাকে দরকার দেশে।
আমি কখনো বেগম জিয়ার রাজনীতি ওউন করি না। কিন্তু, এটা জানি বাংলাদেশের ইতিহাসে জেনেশুনে রাজনীতির জন্য নিজের জীবন এমন করে আর কেউ বাজিতে তোলেনি।
ম্যাম, আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। বরং যে কোন সময়ের চেয়ে আপনাকে বেশি দরকার। আমি বিশ্বাস করি, দেশটা রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকতে হবে।
সে জন্য আপনাকে খুব দরকার। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, আপনি আরেকবার হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। আমাদের অভয় দেবেন।
দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। শুভম।দেয়ার ইজ অলওয়েজ আদার সাইড অব দ্য কয়েন।
আমরা রাজনীতিবিদদের পাওয়াটা দেখতে পাই- ক্ষমতা, বাড়ি, গাড়ি, প্রতাপ। কিন্তু আমি সবসময় অনুভব করি, এই কিছুর বিপরীতে কী ভয়ংকর ব্যক্তিগত ত্যাগ করতে হয়।
খুব সাধারন অবস্থায়ও প্রচন্ড স্ট্রেস নিতে হয়, পারসোনাল লাইফ স্যাক্রিফাইস করতে হয়, পরিবারকে সময় দেওয়া অলীক কল্পনা।
কিন্তু একেবারে দলের প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব স্যাক্রিফাইস করার সেরা উদাহরণ সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে তার সাথে মেলানো যাবে না।
শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকে নিজেকে এই লাইফের জন্য তৈরি করেছেন, তিনি জেনে বুঝেই বড় হয়েছেন যে, তাকে বাবার লিগাসি অনুযায়ী পাবলিক লাইফ লিভ করতে হবে।
কিন্তু খালেদা জিয়া? এক পরম বিষ্ময়।
সাবালিকা হয়ে ওঠার আগেই তিনি সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রী। পলক ফেলতে না ফেলতেই তিনি সেনাপ্রধান, তথা রাষ্ট্রপ্রধানের সহধর্মিণী। এই মানুষটার মাঝ বয়স হওয়ার আগে জানারই কথা না, সাধারণ জীবন কেমন জিনিস।
আমরা যারা সিভিল মানুষ, আমরা ঠিক কল্পনা করতে পারবো না, একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী আসলে কতোটা সৌখিন জীবন চাইলে কাটাতে পারেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুদর্শণা, সাতেপাঁচে না থাকা ফার্স্ট লেডি।
অথচ একটা দিনের ব্যবধানে তিনি সুতির কাপড় পরে দুটি সন্তান নিয়ে রাস্তায়। এ সময় খালেদা জিয়ার সামনে অনায়াসে দুই ছেলেকে নিয়ে বিদেশে কোথাও নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটানোর সুযোগ ছিলো। সেটাই হয়তো স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু তিনি খুবই, খুবই অস্বাভাবিক এক অচেনা জীবন বেছে নিলেন বিএনপি, রাজনীতি বা দেশের জন্য।
এই জীবনে তিনি কখনো না দেখা কাদার রাস্তায় হেটেছেন, কখনো না শোনা হীনতার শিকার হয়েছেন, কখনো ফেস না করা পরিশ্রম করেছেন।
হ্যা, বিনিময়ে ক’বার সিংহাসনে বসেছেন। তার চেয়ে বেশি প্রাণ বিপন্ন করা জেল জীবন পেয়েছেন।
দফায় দফায় পালানোর বা সব ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও জেলের অন্ধকারকেই বেছে নিয়েছেন, নিজেকে মানুষের মাঝে রাখার জন্য। নিশ্চিত কারাগার জেনেও দেশে ফিরে এসেছেন।
একটি সন্তানের শরীর পিটিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; তাকে দেখারও উপায় নেই। আরেকটি খেলাপাগল সন্তান ভিনদেশে বসে প্রাণ হারালেন। নিজের শরীরে ভয়ানক সব রোগ। শ্বাস নিতে পারেন না, হাটতে পারেন না, কথা বলতে কষ্ট হয়। তবু তিনি দেশ ছেড়ে যেতে রাজী হননি। জেল বেছে নিয়েছেন!
শি চুজ আ সাফারিং ফর হার পিপলস।
এই সর্বশেষ যখন তারেক জিয়ার কাছে থেকে সুস্থ হলেন; তখন তো না ফিরলেও পারতেন। বাকী ক’টা দিন বিলাতের চিকিৎসা আর নিরাপদ জীবনে থাকতে পারতেন।
কিন্তু মৃত্যু হাতছোয়া দূরত্বে জেনেও ফিরে এসেছেন এবং সাফার করেছেন। শুধু জানতেন- তাকে দরকার দেশে।
আমি কখনো বেগম জিয়ার রাজনীতি ওউন করি না। কিন্তু, এটা জানি বাংলাদেশের ইতিহাসে জেনেশুনে রাজনীতির জন্য নিজের জীবন এমন করে আর কেউ বাজিতে তোলেনি।
ম্যাম, আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। বরং যে কোন সময়ের চেয়ে আপনাকে বেশি দরকার। আমি বিশ্বাস করি, দেশটা রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকতে হবে।
সে জন্য আপনাকে খুব দরকার। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, আপনি আরেকবার হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন। আমাদের অভয় দেবেন।
দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।


দেবব্রত মুখোপাধ্যায় শুভম।




































আপনার মতামত লিখুন :