ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী সাংগঠনিক কার্যক্রমের ধারবাহিকতায় দেশের অন্যান্য সাংগঠনিক জেলাগুলোর মতো নোয়াখালীতেও জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কর্যক্রম শুরু হয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে এডভোকেট রহমান থেকে যাচ্ছেন জেলা কমিটিতে এটা নিশ্চিত। গোল বেঁধেছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির দুইজন সদস্য হতাশা ব্যাক্ত করে বলেন “ আমাদের জেলা কমিটিতে সাবেক এমপি সাহেবের কথাই শেষ কথা, শুনেছি উনি সাবেক যুবদল নেতা মাহাবুব আলমগীর আলো ভাইকে চান। উনি চাইতেই পারেন, আলো ভাই উনার গ্রামের লোক, একটা বোঝাপড়া উনাদের মধ্যে সবসময়ই ছিলো”।
নাম প্রকাশে অনিচ্চুক জেলা যুবদলের কর্মী বলেন “যে গত চার বছর নোয়াখালীর রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক রাখে নাই, বিগত কোনো আন্দোলনের সাথে ছিল না তার সরাসরি সম্পৃক্ততা, তাছাড়া পাঁচবার মেট্রিক ফেল করে “ছয় আনি” কেন্দ্র (তৎকালীন নোয়াখালীর নকলের স্বর্গরাজ্য) থেকে মেট্রিক পাশ, এই যোগ্যতা দিয়ে যদি জেলা কমিটির কার্যক্রম পরিচালিত হয় তবে তা হবে পুরো জেলা বিএনপি পরিবারের জন্য দুঃখজনক”।
ছবি: মাহাবুব আলমগীর আলো।
বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলন
————————————-
অজ- বাংলার অনুসন্ধান
—————————-
২৮ শে অক্টোবর ‘২৩ থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনের ঢেউ নোয়াখালীতে যখন আঘাত হানে তখন মাহাবুব আলমগীর আলোর মতো অনেকে পাশ ফিরে শুয়ে থাকলেও একদল তরুণ তুর্কি মাঠে নেমেছিলেন অধিকার আদায়ের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। হামলা, মামলা কিংবা গুলি পারেনি তাদের দমাতে। এই তুর্কিরা এসেছেন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিট থেকে। এঁরা শিক্ষিত, যোগ্য নিবেদিত প্রাণ এক ঝাঁক নেতা- কর্মী। এদের মধ্যে যে কাউকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হলে একদিকে নোয়াখালী জেলায় বিএনপি থাকবে ঐক্যবদ্ধ অন্যদিকে পার্টি প্রধান তারেক রহমানের হাত হবে বহুগুনে শক্তিশালী।
আপনার মতামত লিখুন :