অবিশ্বাস্য দক্ষতায় বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে করলেন দর্শনীয় গোল। লিওনেল মেসির এমন জাদুকরী দিনে বন্ধু ও সতীর্থ লুইস সুয়ারেজও পেলেন জালের দেখা। মেজর লিগ সকারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুকে হারিয়ে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামিও। সেই সাথে তারা জিতে নিল মৌসুমের সবচেয়ে ভালো ধারাবাহীক দলের জন্য কমিউনিটি শিল্ড খেতাব।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে কলম্বাসের লোয়ার ডট কম ফিল্ডে স্বাগতিকদের ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। পয়েন্ট তালিকায় কলম্বাসই ছিল মায়ামির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটিকে হারিয়ে শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করা নিশ্চিত করল জেরার্দো মার্তিনোর দল। সেই সাথে প্রথমবারের মতো জিতে নিল কমিউনিটি শিল্ড খেতাব।
৩৭ বছর বয়সী মেসির ক্যারিয়ারে এটি ৪৬তম শিরোপা জয়। আর ইন্টার মায়ামির হয়ে দ্বিতীয়। ৩২ ম্যাচে ২০ জয় ও ৮ ড্রয়ে মায়ামির পয়েন্ট ৬৮। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলম্বাস। তিনে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ৫৬।
বাকি দুই ম্যাচ জিতে নিউ ইংল্যান্ড রেভুল্যুশনের মৌসুমের ২০১ আসরে গড়া ৭৩ পয়েন্টের রেকর্ড নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ আছে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে সুযোগ পাওয়া মায়ামির সামনে।
প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না মায়ামি। অবশেষে আসে মেসি ঝলক। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে মেসির উদ্দেশে ডি বক্সের ঠিক সামনে উঁচু বল বাড়ান সতীর্থ। আর্জেন্টাইন মহাতারকা দুইজনের মাঝ থেকে সেই বল বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন দারুণ দক্ষতায়। এরপর সেই দুজনকে কাটিয়ে গোলরক্ষককেও ফাঁকি দেন রেকর্ড আটবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ডি বক্সের অনেকটা দূরে ফ্রি কিক পেয়ে ব্যবধান বাড়ান মেসি। তার বাঁকানো শট জালে ঢুকতে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের।
লিগ মৌসুমে মেসির এটি ১৭ ম্যাচে ১৭তম গোল। সাথে আছে ১৫টি অ্যাসিস্টও। সব মিলিয়ে মায়ামির হয়ে মৌসুমে এটি তার ১৯তম গোল। আর ইন্টার মায়ামির হয়ে ৩০তম। আর দুটি গোল করলেই বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুটি ভিন্ন ক্লাবের শীর্ষ গোলতাদা হয়ে যাবেন এই বিশ্বজয়ী মহাতারকা।
দ্বিতীয়ার্ধের ২০ সেকেন্ডের মাথায় দিয়াগো রসির গোলে ব্যবধান কমায় কলম্বাস। দুই মিনিটের ব্যবধানে আবার ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেজ। এবারও সতীর্থের সেই দূরপাল্লার উঁচু পাস থেকে। লাফিয়ে বলটি দুই হাতে পেয়েও ততীর্থের ধাক্কায় লুফে নিতে পারেননি গোলরক্ষক। তার হাত থেকে বল পড়লে হেডে ব্যবধান ৩-১ করে দেন উরুগুয়ান তারকা সুয়ারেজ। লিগে এটি তার ১৮তম গোল।
৬১তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে ব্যবধান কমান কুচো হের্নান্দেস। দুই মিনিট পর ফেদেরিকো রোডেন্ডোকে ফাউল করা রুডি কামাচোর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড লালে রূপ নেয়, দশজনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
প্রতিপক্ষ দলে একজন কম থাকার সুযোগটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। উল্টো ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ইয়ান ফ্রেইয়ের হ্যান্ডবলে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি পেয়ে হার এড়ানোর সুযোগ পায় কলম্বাস। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। কলম্বিয়ার হের্নান্দেসের দূর্বল শট ডানে ঝাপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক ডার্ক ক্যালেন্ডার।
বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার রাত ২টায় মায়ামির প্রতিপক্ষ টরেন্টো।
আপনার মতামত লিখুন :