কেনিয়ায় ১০ লাখ কাক মারার সিদ্ধান্ত


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২৪, ৯:৩৪ অপরাহ্ন
কেনিয়ায় ১০ লাখ কাক মারার সিদ্ধান্ত

কাকের সংখ্যা জেনো প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায়। কাকের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দেশটিতে। সম্প্রতি দেশটিতে কাক নির্মূলের দাবি উঠেছে।

কাকের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সেগুলো ফলপ্রসূ হয়নি। অবশেষে এ বছরের শেষদিকে ১০ লক্ষ কাক মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

বন্যপ্রাণী ও সম্প্রদায় পরিষেবার পরিচালক চার্লস মুসিওকি বলেছেন, কেনিয়ার উপকূল অঞ্চলে হোটেল মালিক এবং কৃষকদের জনরোষের কারণে সরকার কাক সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ।

বোল্ড-স্কাইয়ের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, কাক মারতে কেনিয়ার সরকার নিউজিল্যান্ড থেকে স্টারলিসাইড নামক বিষ আমদানির পরিকল্পনা করেছে। এই বিষ পরে হোটেল মালিকদের দেয়া হবে।

পক্ষীবিদ, সংরক্ষণবিদ ও রোচা কেনিয়ার সিইও কলিন জ্যাকসন জানান, ১০ লক্ষ কাক হত্যা করতে ৫ থেকে ১০ কেজি বিষের দরকার হবে। প্রতি কেজি বিষ কিনতে ব্যয় হবে ছয় হাজার মার্কিন ডলার।

তিনি আরও বলেন, হোটেল থেকে দেয়া মাংসের টুকরোয় বিষ মেশানো হবে। এই মাংস খেলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব কাক মারা যাবে। তবে এই বিষ অন্য প্রজাতির পাখির জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না।

কাক হত্যা বিষয়ে কলিন জ্যাকসন বলেন, এসব কাক খুবই আক্রমণাত্মক। এরা বিপন্ন প্রজাতির স্থানীয় পাখির শিকার করে ফেলে। তাদের বাসা ধ্বংস করে এবং ডিম ও ছানা নিয়ে যায়। যার ফলে স্থানীয় পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য-ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কেনিয়ার অর্থনীতি অনেকটা পর্যটন নির্ভর। এই পর্যটন খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার বড় একটা অংশ আসে। তবে কাকেরা বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও ছাড় দেয় না। তাদের থালা থেকে খাবার কেড়ে নেয় কাক।

এছাড়াও কাক ছোট প্রাণী, সরীসৃপ ও ছাগলের বাচ্চাদের আক্রমণ করে। মুরগির খামার থেকে বাচ্চা নিয়ে যায়। সেখানকার কৃষিকাজেও ক্ষতি করছে।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: