গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ২০০ এমএমবিটিইউ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ। এতে ব্যয় হবে ১৩২ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এই এলএনজি সরবরাহ করবে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সিঙ্গাপুরের এক্সেলারেট এনার্জি সামিট করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে।
গ্যাসের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ বর্তমানে কাতার গ্যাস ও ওমান গ্যাস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে। বছরের কোনো সময়ে গ্যাসের চাহিদা কমলে এলএনজি না নিলেও মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
এ বিবেচনায় এলএনজি আমদানিকারী দেশগুলো প্রয়োজনের কম-বেশি ২৫ শতাংশ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে কিনে থাকে। এজন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ (২০১৮ সালের সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ৮ জুন জাতীয় পত্রিকাসহ সিপিটিইউ, পেট্রোবাংলা ও আরপিজিসিএল-এর ওয়েবসাইটে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট ইওআই প্রকাশ করা হয়।
ইওআই দাখিলের সর্বশেষ তারিখ পর্যন্ত মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। এর মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ২০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি সরবরাহের কাজ পায়।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এমএমবিটিইউর দর ৩ দশমিক ৮৩২১ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে।
2021-01-30 06:29:31
আপনার মতামত লিখুন :