প্রত্নতাত্ত্বিক খননে মাটির তলা থেকে হঠাৎ উঠছে সোনা!


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : মার্চ ১১, ২০২৪, ৪:৫২ অপরাহ্ন
প্রত্নতাত্ত্বিক খননে মাটির তলা থেকে হঠাৎ উঠছে সোনা!

পানামায় ১২০০ বছর পুরনো একটি কবর থেকেই মিলল বিপুল পরিমাণ সোনা। কবরের ভিতরে মানব দেহের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

দ্য মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পানামা সিটি থেকে ১১০ মাইল দূরে এল ক্যানো আর্কিওলজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকেই এই সোনার খনির হদিস মিলেছে। কি কি রয়েছে সেই খনির ভিতরে? সোনার চাদর থেকে সোনার বেল্ট, গয়নাগাটি। এমনকি, তিমি মাছের দাঁত দিয়ে তৈরি কানের দুলও পাওয়া গিয়েছে কবরের ভিতর থেকে। এছাড়া ব্রেসলেট, মানুষের আঙুল দিয়ে তৈরি আংটি, কুমিরের কানের দুল, ঘণ্টা, কুকুরের দাঁত দিয়ে তৈরি স্কার্ট, হাড় দিয়ে তৈরি বাঁশি ও মাটির থালাবাটি।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান, কোকল যুগের কোনও উচ্চ পদস্থ কর্তার সমাধি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সঙ্গেই সোনা, হিরে-জহরত দেওয়া হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, বিশাল বড় ওই সমাধিক্ষেত্রে আরও ৩২ জনের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই নেতা বা উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গেই এদের সমাধি দেয়া হয়েছিল। হয়তো তাদের বলি দেয়া হয়েছিল। মোট কতজনকে বলি দেয়া হয়েছিল, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। ২০০৮ সাল থেকে এল কানোয় খনন শুরু করা হয়।

পানামার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অমূল্য এই সম্পদ। এর মূল্যের আন্দাজ করা যায় না। মনে করা হচ্ছে, ৭৫০ শতাব্দীতে এই সমাধি তৈরি করা হয়েছিল। সমাজের উচ্চ-পদস্থ কর্তাদের জন্যই সমাধি তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে একজন মহিলার দেহ, তার উপরে পুরুষের মৃতদেহ মুখোমুখি-ভাবে শোয়ানো হত। সেই সময়ে এমনটাই রীতি ছিল কবর দেয়ার। কোনও নেতা বা উচ্চপদস্থ কর্তার মৃত্যুর পর যাদের বলি দেয়া হত, তারা পরবর্তী জীবনে ওই ব্যক্তির সঙ্গী হবেন বলেই মনে করা হত।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: