আগামী ৬ নভেম্বর সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এতে অংশ নেবে মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। মোট ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসবে। মোট ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মোট এক হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ৪৪৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন। মোট ১ হাজার ৮৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা মোট ৬৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা ঘিরে প্রশ্নফাঁসের গুজব এড়াতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা আয়োজনে ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :