সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন লাগবেই


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : মার্চ ১১, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ন
সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন লাগবেই

গণপরিষদ- জনগনের সরাসরি ভেটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রনিধি দিয়ে নির্বাচিত একটি পরিষদ যেখানে ডমাজের সকল পথ-মত-ভাষা-জাতি এর প্রতিনিধি যতদূর ডম্ভব উপস্থিত থাকে। এটই পরিষদের একটিই কাজ সেটি হলো সংবিধান লিখা বা সংস্কার করা। সংবিধান লিখবে বা সংস্কার করবার উদ্দেশ্যেই এই পরিষদ গঠন করা হয় একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য। সেই মেয়াদের ভেতর সংবিধান লিখে পরিষদকে দিবেন। পরিষদ এই নতুন সংস্কারকৃত সংবিধান জনগণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত গণভোটের আহ্বান করবেন, গণভোটে জনগণ এটিকে সংবিধান হিসাবে গ্রহণ করলেই তবেই সেটি সংবিধান হিসাবে গৃহিত হবে। গণপরিষদের একমাত্র কাজ সংবিধান লিখা অথবা সংবিধান সংস্কার করা।

সংসদ –

জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা সংবিধান অনুসরন করে দেশ পরিচালনার আইন বানাবে এবং দেশ পটিচালনা করবে। নিশ্চয় দেশের এই পরিচালকরা থাকবে জবাবদিহিতার অধীনে।

কেন সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন?

সংসদে বসে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। সংবিধান লিখা বা সংশোধন করা সংবিধান সভার কাজ। সংসদের কাজ – সংবিধান মোতাবেক দেশে পরিচালনার আইন বানানো। বিচার বিভাগের (সুপ্রীম কোর্ট) কাজ হলো সংবিধানের অবিভাবক হিসাবে দেখভাল করা, সংবিধানের ব্যত্যয় রদবদল রহিত করা। সংবিধানের মালিকানা জনগণের। সংসদ সংবিধান ঠিক করলে বিচার বিভাগ সেটিকে বাতিল করবার এখতিয়ার রাখে, সংবিধানের হেফাজতকারী বিচারবিভাগ। বাপ-মা জনগণ। জনগণ ও রাষ্ট্রের ভেতর সম্পাদিত চুক্তিই সংবিধান বা দেশের গঠনতন্ত্র। দেশটাকে কেমন দেশ বানবেন, দেশের মালিকানা কার হাতে থাকবে এবং দেশের আয়-ব্যায়। নিরাপত্তা কেমন হবে কোন কোন আইন দিয়ে দেশ চলবে এইই মোটামুটি চুক্তি, সমঝোতা, বোঝাপড়া, দেশ পিরিচালনানা কারা কটবে এবং দেশের পরিচালকদের দেশের উপর মালিকানা কেমন হবে, যে কাজে তাদের বসানো হলো সে কাজ ঠিকমত না করতে পারলে কার কাছে জবাবদিহি করবে, যারা পরিচালক নিয়োজিত হবে তাদের মেয়াদ কতদিনের তাদের বহিস্কার/প্রত্যাহার করার পদ্ধতি কি হবে ইত্যকার চুক্তি আলাপ সংবিধান বা দেশের গঠনতন্ত্র।

এখানে কোন নতুন কথা নাই, সকলই পুরাতুন কথা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি আপনারা যে কারো চেয়ে বেশি জানেন, বেশি জানেন ইতিহাস। ১৯৭১ মনে রাখা মানে বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস মনে রাখা। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যে দেশ কেবল দেশ পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক করবে বলে সংখেপে বললে সংবিধান লিখবে সংবিধান বলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আপামর জনগণ মুক্তির যুদ্ধ করেছিল, কারো নির্দেশ কারো হুকুমের অপেক্ষা না করে। বাংলাদেশের ১৯৭১ মানে সংবিধান লিখার বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধের সরকার ও প্রকলেমেশান (ঘোষনা) এর আনুষ্ঠানিকতার পূর্বেই বাংলার প্রতিটা জনগণ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধকে স্বাগত জানিয়ে এক একজন মুক্তিযোদ্ধা। এটিই বাস্তবতা। মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন হলো ১০ই এপ্রীল, কিন্তু যুদ্ধ শুরু ২৫ শে মার্ঢ রাতে ঊপারেশন সার্চলাইট এর মাধ্যমে।

দেশটা মনুসের দেশে পরিনত করবার উদ্দেশ্যেই মুক্তিযুদ্ধ। দেশটা মানুষের দেশ না হয়ে সাসক আমলার দেশে পরিনত হলো এটাই সাংবিধানিক জঠিলতা – এই জঠিলতা তৈরী করা জিয়িয়ে রাখাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা, দেশদ্রোহীতায় অংশ নেয়া।

গণপরিষদ!

জনগনের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি দিয়ে নির্বাচিত একটি পরিষদ যেখানে সমাজের সকল পথ-মত-ভাষা-জাতি এর প্রতিনিধি যতদূর সম্ভব উপস্থিত থাকে। এটই পরিষদের একটিই কাজ সেটি হলো সংবিধান লিখা বা সংস্কার করা। সংবিধান লিখবে বা সংস্কার করবার উদ্দেশ্যেই এই পরিষদ গঠন করা হয় একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য। সেই মেয়াদের ভেতর সংবিধান লিখে পরিষদকে দিবেন। পরিষদ এই নতুন সংস্কারকৃত সংবিধান জনগণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত গণভোটের আহ্বান করবেন, গণভোটে জনগণ এটিকে সংবিধান হিসাবে গ্রহণ করলেই তবেই সেটি সংবিধান হিসাবে গৃহিত হবে। গণপরিষদের একমাত্র কাজ সংবিধান লিখা অথবা সংবিধান সংস্কার করা।

সংসদ –

জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা সংবিধান অনুসরন করে দেশ পরিচালনার আইন বানাবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। নিশ্চয় দেশের এই পরিচালকরা থাকবে জবাবদিহিতার অধীনে।

কেন সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন?

সংসদে বসে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। সংবিধান লিখা বা সংশোধন করা সংবিধান সভার কাজ। সংসদের কাজ – সংবিধান মোতাবেক দেশে পরিচালনার আইন বানানো। বিচার বিভাগের (সুপ্রীম কোর্ট) কাজ হলো সংবিধানের অবিভাবক হিসাবে দেখভাল করা, সংবিধানের ব্যত্যয় রদবদল রহিত করা। সংবিধানের মালিকানা জনগণের। সংসদ সংবিধান ঠিক করলে বিচার বিভাগ সেটিকে বাতিল করবার এখতিয়ার রাখে, সংবিধানের হেফাজতকারী বিচারবিভাগ। বাপ-মা জনগণ। জনগণ ও রাষ্ট্রের ভেতর সম্পাদিত চুক্তিই সংবিধান বা দেশের গঠনতন্ত্র।

দেশটাকে কেমন দেশ বানবেন, দেশের মালিকানা কার হাতে থাকবে এবং দেশের আয়-ব্যায়। নিরাপত্তা কেমন হবে কোন কোন আইন দিয়ে দেশ চলবে এইই মোটামুটি চুক্তি, সমঝোতা, বোঝাপড়া, দেশ পিরিচালনা কারা করবে এবং দেশের পরিচালকদের দেশের উপর মালিকানা কেমন হবে, যে কাজে তাদের বসানো হলো সে কাজ ঠিকমত না করতে পারলে কার কাছে জবাবদিহি করবে, যারা পরিচালক নিয়োজিত হবে তাদের মেয়াদ কতদিনের তাদের বহিস্কার/প্রত্যাহার করার পদ্ধতি কি হবে ইত্যকার চুক্তি আলাপ সংবিধান বা দেশের গঠনতন্ত্র।

এখানে কোন নতুন কথা নাই, সকলই পুরাতুন কথা। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি আপনারা যে কারো চেয়ে বেশি জানেন, বেশি জানেন ইতিহাস। ১৯৭১ মনে রাখা মানে বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস মনে রাখা। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যে দেশ কেবল দেশ পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক করবে বলে সংক্ষেপে বললে সংবিধান লিখবে বলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আপামর জনগণ মুক্তির যুদ্ধ করেছিল, কারো নির্দেশ কারো হুকুমের অপেক্ষা না করে। বাংলাদেশের ১৯৭১ মানে সংবিধান লিখার বাংলাদেশ।

মুক্তিযুদ্ধের সরকার ও প্রকলেমেশান (স্বাধীনতার ঘোষনা) এর আনুষ্ঠানিকতার পূর্বেই বাংলার প্রতিটা জনগণ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধকে স্বাগত জানিয়ে এক একজন মুক্তিযোদ্ধা। এটিই বাস্তবতা। মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন হলো ১০ই এপ্রীল, কিন্তু যুদ্ধ শুরু ২৫ শে মার্ঢ রাতে অপারেশন সার্চলাইট এর মাধ্যমে।

দেশটা মনুষের দেশে পরিনত করবার উদ্দেশ্যেই মুক্তিযুদ্ধ। দেশটা মানুষের দেশ না হয়ে শাসক আমলার দেশে পরিনত হলো এটাই সাংবিধানিক জঠিলতা – এই জঠিলতা তৈরী করা জিয়িয়ে রাখাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা, দেশদ্রোহীতায় অংশ নেয়া।

আদীল আমজাদ হোসেন
সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: