শিক্ষা অফিসের পেছনের জঙ্গলে মিলল এনসিটিবির বইয়ের বান্ডিল


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ৬:১৮ অপরাহ্ন
শিক্ষা অফিসের পেছনের জঙ্গলে মিলল এনসিটিবির বইয়ের বান্ডিল

ফরিদপুরের নগরকান্দায় শিক্ষাবর্ষ প্রায় শেষ হতে চললেও বিতরণ করা হয়নি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবির বই। ফলে শিক্ষা অফিসের বইগুলোতে ধরেছে উইপোকা-ছাড়পোকা ।আর শেষ পর্যন্ত এসব বইয়ের ঠাঁই হচ্ছে সেই শিক্ষা অফিসের পেছনের ঝোপঝাড়ে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভবনের পেছনের জঙ্গলে মিলেছে এমনই কিছু বইয়ের বান্ডিল৷ যা সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। তবে জঙ্গলে ওই বই ফেলে দেওয়ার দায় নিতে চাইছেন শিক্ষা না কেউ। কর্মকর্তারা দোষ চাপাচ্ছেন একজন আরেকজনের ওপর ।শেষ পর্যন্ত দায় ঠেকল দপ্তরির ওপর।

ঝোপে বইয়ের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তড়িঘড়ি করে বইগুলো ঝোপঝাড় থেকে তুলে বস্তায় ভরে আবার শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের গোডাউনে নিয়ে রাখা হয়।

জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থীর তালিকা অনুযায়ী এ বছর এনসিটিবির বই বিতরণের জন্য দেওয়া হয়। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের চেয়ে এ তালিকা বেশি হওয়ায় ২০৬১ টি বই বিতরণ করা হয়নি। এসব বই এতোদিন গোডাউনে রাখা ছিল। গোডাউনে এক বস্তা মাক্সও পড়ে রয়েছে।

দীর্ঘদিন গোডাউনে ফেলে রাখায় বইগুলো উইপোকায় ধরে নষ্ট করে ফেলেছে। গোডাউনের এসব বই উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রুপা আক্তারের দায়িত্ব ছিল।

এ বিষয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রুপা আক্তার বলেন, আমি এসএসসি পরীক্ষার ডিউটিতে আছি। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রাশেদ মামুন বলেন, দপ্তরি শামীম এসব বই বের করেছেন। তবে তিনি আমাকে জানিয়ে বইগুলো বের করেনি।

এ ঘটনায় দপ্তরি শামীম বলেন, বইগুলো উইপোকা ধরেছে তাই বের করে পোকা ঝেড়ে ফেলে আবার এনে গোডাউনে রেখেছি।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: