যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়নেয়ার বেড়েছে ৬ লাখ


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুন ৯, ২০২৪, ২:৫৫ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়নেয়ার বেড়েছে ৬ লাখ

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ৬ লাখ মিলিয়নেয়ার বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা ও পরামর্শক সংস্থা ক্যাপজেমিনি। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৭৫ লাখে পৌঁছেছে। তাদের সামষ্টিক মূলধন ২৬ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, এটি ২০২২ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।

মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশা অনুসারে কমে না আসায় যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার এখনো রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। তা সত্ত্বেও গত বছরের শেষের দিকে শেয়ারবাজারের পুনরুদ্ধার, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রণোদনামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থার কারণে মার্কিন অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ধনীদের সম্পদ সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে। ৩ কোটি ডলার বা তার বেশি সম্পদের অধিকারী মার্কিনদের সংখ্যা ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে দেশটিতে ১ লাখ মিলিয়নেয়ারের সামষ্টিক সম্পদ ৭ দশমিক ৪ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছে।

সম্পদের হিসাবে বৈশ্বিক অতিধনীদের সংখ্যা মিলিয়নেয়ারদের মাত্র ১ শতাংশ। তবে সম্পদের ৩৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন অতিধনীরা। ক্রমবর্ধমান হারে সম্পদের বৃদ্ধির সুফলভোগী হচ্ছেন ধনকুবেরদের ছোট্ট এ অংশ। অর্থাৎ অতিধনীদের তুলনায় বেশির ভাগ মিলিয়নেয়ারের সম্পদের পরিমাণ অনেক কম।

ক্যাপজেমিনির বৈশ্বিক প্রধান ইলিয়াস ঘানেমের মতে, গত দশকে কম সুদহার ও তারল্য ছিল সম্পদ সৃষ্টির কারণ। কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী ব্যবসায়িক পরিবর্তন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এতে ভূমিকা রেখেছে। তবে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব, জাতীয় নির্বাচন, সুদহার ও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দা সম্পদ সৃষ্টির এ গতি কমিয়ে দিতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বব্যাপী মিলিয়নেয়ার বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে মিনিয়নেয়ার ৫ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ২৮ লাখ হয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, তাদের সামষ্টিক মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৮৬ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার।

মিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় উত্তর আমেরিকার পর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ইউরোপে ৪ শতাংশ, লাতিন আমেরিকায় ২ দশমিক ৭ ও মধ্যপ্রাচ্যে ২ দশমিক ১ শতাংশ মিলিয়নেয়ার বেড়েছে। তবে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় দশমিক ১ শতাংশ সংকোচন দেখেছে আফ্রিকা।

প্রতিবেদন অনুসারে, অতিধনীরা এখন সম্পদ সৃষ্টির দিকে আগ্রাসীভাবে ঝুঁকেছেন। ২০২৩ সালের শুরুতে তাদের নগদ ও নগদ-সমতুল্য হোল্ডিং ছিল ৩৪ শতাংশ। সেখান থেকে কমে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হয়েছে ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ ধনীরা এখন আরো সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছেন।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: