

কর্ণের কোনে শিউলি কুচে শরতের সরস্বতী,
পূজারী হয়েছি ভিক্ষারি ফেলিয়া অঞ্জলি —
দেখব, তোমার রুপ এ আমার মিনতি।
কে আঁকিল এ সুন্দর চিত্রপট না কী তারা?
খোঁজে রোজ তপস্যা ধ্যানে আত্মহারা।
কে বা কারা আঁকিল এ চিত্র করিল আত্মদান,
নিশ্চিত, মোড়ল শিল্পীর নিপুণ হাতের নির্মাণ।
ওরে কাটেনি তো ঘোর হয়নি কো ভোর, মুর্ছূা অনন্ত,
যাই তো রোজ পাইনে সুখের খোঁজ তবুও নেই ক্লান্ত।
কৃষ্ণবস্ত্র অঙ্গে জড়ানো শুভ্রত বালিকা,
শরতের পূর্ণিমায় যৌবন খুলে হাসছে শেফালিকা।
চোখযুগল তার সুন্দর–সুশ্রী মুক্তার পাথার,
আঁখিতে তার জৌলুস্ ভরা এ্যালকোহলের বার।
মায়াবী চাহনিতে খুলে যায় পাহার তব শক্ত ধার,
ধুলোর ভূবনে পদচারণ হয়েছে হুরের সরদার।
শত জনমের শত মায়া মাখা তার মুখে,
যৌবনের আকাশকুসুম পাখা মেলে বুকে।
একবিংশের বিলাসিতা ছুঁতে পারেনি তারে,
কত এসে ঝুটিয়ে লুটিয়ে গেছে তার ধারে ধারে।
আতুর নিদ্রা ভেঙে জরায়ে গেছি তার মায়াবী জালে,
নেই তো হুস, কখন ভাঙলো নিদ্রা বা কিসের তালে।
সুদূর মরুদ্যানে তার মন পানে চেয়ে,
মায়াবী জাদুজালে মাতাল, মদ খেয়ে।
মোঃ আরিফুল ইসলাম আকাশ
নলছিটি, ঝালকাঠি।




































আপনার মতামত লিখুন :