ভোটের রাজনীতি ঠুনকো কথার রাজনীতি


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : মে ২২, ২০২৩, ৭:৫১ অপরাহ্ন
ভোটের রাজনীতি ঠুনকো কথার রাজনীতি

আসন্ন জাতীয় ভোটকে সামনে রেখে এমন উল্টা পাল্টা কথা সরকার ও তার দল হামেশাই বলবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ত্রাসের রাজনীতি আমাদের এতোটাই মূর্খ এবং ভীত সন্ত্রস্ত বানিয়ে রেখেছে যে আমরা সাধারণ সত্যও উচ্চারণ করতে পারি না।

লুঙ্গীর চেয়ে প্যান্ট এর দাম কম বলেই গ্রামে মানুষ লুঙ্গী পরে না। অবিভক্ত ভারতে নীল চাষ করতে বাধ্য হতো কৃষক। নিজের খাদ্য উৎপাদন করবার মত জমিও অবশিষ্ট থাকতো না, ফলে খাদ্য অভাবে অভুক্ত থাকত কৃষক। তখনকার ব্রিটিশ সরকার এখনকার আওয়ামীলীগ সরকারের মত বলতো – ভেতো বাঙালি ভাতের কুফল জেনে ভাত ত্যাগ করেছে।

মসলিন, রেশম, পাট বস্ত্র হারিয়ে গেছে যে কারনে যে উপায়ে ঠিক একই কারনে বাংলার তাঁতও হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ে। জামদানী, ঢাকাই শাড়ি তার জৌলুস হারাচ্ছে দিনে দিনে। নিজেদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি হারিয়ে যাবার সাথে অর্থনৈতিক যোগসূত্র নিশ্চয় আছে। আর আছে বলেই গরুর মাংসের দাম বাড়লে প্রধান মন্ত্রী কাঁঠালের বার্গার খাবার তরিকা হাজির করেন। সরকার তাঁর ব্যর্থতা ঢাকতে তার লুটপাটের ব্যবস্থা বহাল রাখতে লুঙ্গির বদলে প্যান্ট পরাকে আধুনিকতা অথবা উন্নয়ন বলে প্রচার করেন।

লুঙ্গি না পরে প্যান্ট পরাকে যদি আমাদের মাথামোটা সরকার ও তার মন্ত্রীরা উন্নয়ন বলে তবে ২০০ বছর আগে বিলুপ্ত সরাসরি ব্রিটিশ শোষণ শাসন কে মহা উন্নয়ন বলবেন না কেন? ব্রিটিশরা ভারত বর্ষে উপনিবেশ তৈরি করে, ভারত বর্ষ শাসন করে, ভারতের সম্পদ লুণ্ঠন করে নিজ দেশে নিয়ে যেত আর আমাদের দেশের অবৈধ লুটেরা ভোট চোর শাসকেরা (প্রায় ২৭ বছর অর্থাৎ বাংলাদেশ নামক দেশটির বয়সের অর্ধেকের বেশি সময়) অবৈধ ভাবে ক্ষমরা দখল করে এবং সংবিধানের ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন এর কৌশলকে হাতিয়ার করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। বিদেশে বাড়ি গাড়ি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠিত করে।

ঠুনকো কথায় না ভুলে একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং সকল দল মত ও ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করে এমন ভোট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আওয়াজ তুলুন।

আদীল এ হোসেন
লেখক ও বিশ্লেষক

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: