আদালতের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে যেতে পারবেন না: ড. ইউনূস


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৪, ৬:১১ অপরাহ্ন
আদালতের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে যেতে পারবেন না: ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার শীর্ষ কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। বিদেশে যেতে হলে তাদের আদালতকে জানাতে হবে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে বিদেশে যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি শ্রম আদালতের দেয়া ছয় মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিত করে জামিন দেয়া কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি এ মামলায় শ্রম আদালতে ছয় মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। রায়ে বলা হয়, অভিযুক্তরা শ্রম আইনের বিধান লঙ্ঘন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের সাজা দেয়া হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে চারজনকেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারক। ফলে তাদের আর কারাগারে যেতে হয়নি।

পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চান আসামিরা। একই সঙ্গে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে তাদের জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। স্থগিত করা হয় শ্রম আদালতের দেয়া সাজা। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ওই আদেশের অংশবিশেষ চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার হাইকোর্টে আবেদন করে শ্রম ও কলকারখানা অধিদপ্তর। গতকাল আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

শুনানিতে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল বিচারিক আদালতের পুরো জাজমেন্ট স্থগিত করেছেন। তিনি সেটা পারেন না। এটা ফৌজদারি কার্যবিধির লঙ্ঘন। আমরা ট্রাইব্যুনালের পুরো অর্ডার চ্যালেঞ্জ করিনি। ছোট্ট একটি অংশ চ্যালেঞ্জ করেছি। বেইল, ফাইন, আপিল অ্যাডমিশন নিয়ে আমাদের কোনো অবজেকশন নেই। কিন্তু কনভিকশন কখনো স্টে হতে পারে না—নেভার।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই আদালত আদেশ দিয়েছেন। জাজমেন্টের বিষয়ে কোনো সংশোধনী থাকলে তার কাছে যেতে পারতেন। এজন্য হাইকোর্ট, আপিল বিভাগে আসার কোনো দরকার নেই। এটা করা মানে আদালতকে হাত-পা বেঁধে দেয়া।’

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: