বাংলাদেশের ডিজিট্যাল সিকিউরিটি আইন বাতিল চাই।


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০২৩, ১:৩৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের ডিজিট্যাল সিকিউরিটি আইন বাতিল চাই।

বাংলাদেশের নওগাঁর সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিন (৪৫) র‌্যাব হেফাজতে মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলেছেন, জেসমিনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। র‌্যাব যাই বলুক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর দায় তারা এড়াতে পারেন না।জেসমিনের ছেলেটাও নিখোঁজ, খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা। এরকম একটি বিষয়ে পরিষ্কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যখন ঘটছে তখন আমরা অদ্ভুত রুচির বিষয়ে নিয়ে মেতে আছি।

৫২ বছর পরে চাল-ডাল-মাছ-মাংস কিনতে গিয়ে আর্থিক দৈন্যজনিত শঙ্কামুক্ত হবার স্বাধীনতা চাইলে বিক্ষুব্ধ হবার কী আছে? আর এতে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন বা ভাবমূর্তি নষ্ট হয় কিভাবে? ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার বিষয়টা আসলো কেন?

যেখানে সাধারণ মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই, র‌্যাবের মত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মানুষ মারা যাচ্ছে তখন সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে। বৈশ্বিক সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে। এমন কী তালেবানদের দখল করে নেয়া আফগানিস্তানেরও নিচে। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ১৬২টি তম আর আফগানিস্তান ১৫৬তম।

সাভারের ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজের মত লাখ লাখ শিশু রাস্তায় প্রতিদিন নামে। সরকারি হিসেবেই দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২২.৮ শতাংশ। অথচ এখন কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে এক অষ্ট্রেলিয়াতেই।

অবিলম্বে নিঃশর্ত প্রথম আলোর রিপোর্টার শামসুজ্জামানের মুক্তি চাই। ডিজিট্যাল সিকিউরিটি আইন বাতিল চাই।

কামরুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: