জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উদ্যোক্তা আহনাফ মহোদয় প্রফেসর ড. লেঃ কর্ণেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’কে Maclarens ক্লাবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা প্রদান করেন ।
নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করায় প্রফেসর ড.লেঃ কর্ণেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও উদ্যোক্তা মোঃ জাহাঙ্গীর ও আব্দুল হামিদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চান যাতে আজীবন দেশের স্বার্থে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য , গত ২৩ অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ইন্ডিয়ান টেরিটোরিয়াল ফোর্স রেগুলেশনস ১৯৪০-এর চ্যাপটার III ও এ্যাপেন্ডিক্স VII এবং বাংলাদেশ আর্মি রেগুলেশনস (রুলস)-এর রুল ২৩৭ অনুযায়ী পদোন্নতির তারিখ (২৪ ডিসেম্বর ২০২০) বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে মেজর পদবী থেকে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয় । গত ২৮ অক্টোবর তাকে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, মহাপরিচালক বিএনসিসি ও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. আব্দুল কাদের হোসাইন, রেজিমেন্ট কমান্ডার, রমনা রেজিমেন্ট ,বিএনসিসি।
প্রফেসর ড. লেঃ কর্ণেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ,বিএনসিসিও ২০০২ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি ভাটিয়ারী থেকে প্রি কমিশন কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি রমনা রেজিমেন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
প্রফেসর ড. লেঃ কর্ণেল নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও একাধারে দেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিন্তক, নির্বাচন ও বিশ্বরাজনীতি বিশ্লেষক । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর।
কমনওয়েলথ স্কলারশীপের অধীনে তিনি যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে ১৯৮৫ সালে এম সক এসসি ও ১৯৮৯ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি কমনওয়েলথ ফেলোশীপের অধীনে যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে ১৯৯৭ সালে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। ফোর্ড ফাউন্ডেশন এর স্পনসরশীপে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ এ্যাডভোকেসি ইনিস্টিটিউট থেকে ১৯৯৮ সালে তিনি সোস্যাল ও জাস্টিস এ্যাডভোকেসি সনদ অর্জন করেন। পিআইবি থেকে তিনি সাংবাদিকতায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। তিনি দেশের শীর্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান । দেশে-বিদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের লেজিসলেটিভ ফেলোশীপ অর্জন করেন এবং অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক লাভ করেন । দেশি-বিদেশি জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ১০০ এর অধিক। এছাড়াও তাঁর পনেরটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর (বেরোবি) এর চতুর্থ ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) প্রথম প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার অন্তর্গত কৈলাইন মিয়া বাড়ির সুযোগ্য সন্তান এবং ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত বিনয়ী ও সদালাপী একজন মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :