পঞ্চগড়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে আহত ১৪, চেয়ারম্যানের বাড়িতে লুটপাট অগ্নিসংযোগ


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ৮:৪৫ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে আহত ১৪, চেয়ারম্যানের বাড়িতে লুটপাট অগ্নিসংযোগ

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে বলে যানা গেছে।

বিক্ষুব্ধ জনতা বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলনের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।

জানা যায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলনের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় সাত জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক বিএনপির সমর্থক হোটেল ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা-ভাঙচুর চালান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলনের সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিএনপির সমর্থকরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন- বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সোহরাব আলী (৩৬), আরিফ হোসেন (২৩), হিমেল (৪৯), জাফর আলী (৪৫), আইয়ুব আলী (৩৬), তিরনইহাট ইউনিয়নের আশিকুর রহমান (২৮), আজিজুল হক (৪৫), চিলমারী এলাকার ফরিদুল ইসলাম (৩২)। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

আটককৃতরা হলেন- তিরনইহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আহসান হাবিব, জিয়ারুল, আনছার আলী, আনিছুর রহমান, ইউসুফ পাভেল, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের রুস্তম মাহমুদ ও আব্দুর রহমান।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচটি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে সাত জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে তিন জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব রাশেদ আলী সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিলন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকজন দুপুরে সিপাইপাড়া বাজারে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের দোকানপাটে হামলা চালায়। তা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আমি ও আমার পরিবার এলাকার বাইরে অবস্থান করছি। সোমবার দুপুরে কোনও কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর লুটপাট করেছে। ঘরের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। ঘর থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেছে তারা। সেইসঙ্গে আমার ব্যবহৃত গাড়ি ও একটি ট্রাক্টরে আগুন দিয়েছে।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: