জেসিন্দা আরডার্ন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ হতে আজ ২৫শে জানুয়ারী স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর খবর এখন বড় বড় মিডিয়ার শীর্ষ খবর। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ বছর অত্যন্ত সফলতার সংগে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর হঠাৎ এই পদ হতে সরে দাড়ানোর কারন হিসেবে তিনি বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশকে নুতন করে তার আর দেয়ার কিছু নেই তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়া।
জেসিন্দা আরডার্ন দ্বিতীয় মেয়াদে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বিজয় অর্জন করেছিল। নিউজিলান্ডে বিরোধীদলসহ কোথাও তার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি। তার লেবার পার্টি ৪৯ শতাংশ ভোট আর তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ ন্যাশনাল পার্টির ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। জেসিন্দা আরডার্ন এর দীর্ঘ শাসন আমলে নিউজিল্যান্ডের কোন রাজনৈতিক দল তাঁর বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক ব্যর্থতার অভিযোগ আনতে পারেনি, পারেনি কোন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আনতে।
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে হামলার পর জেসিন্ডার মানবতার আরেক চেহারা দেখেছিল বিশ্ব। নিউজিল্যান্ডবাসীর কাছেও তিনি অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি। এত সফলতার পরও দেশ ও জাতির প্রতি প্রচন্ড দায়িত্ববোধই হয়ত তাঁকে এমন একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে সাহস জুগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মত দায়িত্ব পদে থেকে এই রকম সহজ, সরল অথচ দায়িত্বশীল স্বীকারোক্তি দেয়ার ক্ষমতা উনারই আছে ।
বর্তমান বিশ্বে এমন একজন সাহসী, দক্ষ ও সৎ মহিলা রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী সত্যিই বিরল। তারপরেও উনার দলের একজনও বলে নাই নিউজিল্যান্ডে জেসিন্ডা আরডার্নের বিকল্প নাই।
কামরুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক
আপনার মতামত লিখুন :