আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে দোহায় সদর দপ্তর ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে কাতার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপটি হামাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে কাতারের উপর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশের চোখে হামাস ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’।
হামাসকে তাড়াতে মার্কিন প্রশাসনের এমন আহ্বান, কাতার কীভাবে সামাল দেবে তা দেখতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। মূলত দোহায় হামাসের সদর দপ্তর বন্ধ করে, হামাসকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে হামাসের প্রভাব রোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার প্রতিফলন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেছেন, ‘আগস্টের শেষের দিকে আমেরিকান-ইসরাইলি জিম্মি হার্শ গোল্ডবার্গ-পোলিনের সাথে আরও পাঁচ বন্দিকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এবং পরবর্তীকালে বারবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। শেষ পর্যন্ত দোহায় পরিচালিত হামাস প্রশাসনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দোহায় হামাসের কার্যক্রম ‘আর কার্যকর বা গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র’।
বাইডেন প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির বারবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, হামাস নেতাদের আর কোনো আমেরিকান মিত্র দেশের রাজধানীতে স্বাগত জানানো উচিত নয়’। মার্কিন কর্মকর্তার অভিযোগ, হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘অবাস্তব অবস্থান’ থেকে সরে যাওয়ার কোন লক্ষণ দেখায়নি। এমন শর্ত দিয়েছে যা কার্যকরভাবে হামাসকে গাজায় ক্ষমতায় ধরে রাখা নিশ্চিত করবে।
আর এমন কিছু যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল কখনই মেনে নেবে না। মার্কিন কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, হামাস কর্মকর্তাদের বহিষ্কার আসলে কখন ঘটবে এবং তাদের কোথায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও কাজ করা হচ্ছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় কাতারকে হামাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার এবং হামাস কর্মকর্তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :