পূজা পালচৌধুরী- আরোমা পার্ক, কলকাতা: নাটকের প্রথম দৃশ্যে যেই মেয়েটি ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবনের মতো নিজের করে পেতে চায়, নাটকের শেষ দৃশ্যে সেই বলে ওঠে “নিজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এখন খুঁজে পেয়েছি।”
হ্যাঁ, নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক অতি সাধারণ ঘটনাকে ‘তিথিডোর’ নাটকটিতে অসামান্য ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ‘ নিশাত ’ রয়েছে যাদের নকল হাসি তাদের বান্ধবীদের কিংবা কাছের মানুষগুলোকে বুঝতে দেয় না যে কত ভয়ঙ্কর সব চিন্তাভাবনা তাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
“কেউ কখনও জানবে না, আমি আসলে কি চেয়েছিলাম, কেন চেয়েছিলাম!”
সত্যিই একটা মানুষ আমাকে বুঝলো না, এই না বোঝার আক্ষেপটা যে কত যন্ত্রণার সেটা সবাই অনুভব করতে পারে না।
দিন দিন ডিপ্রেশনে চলে যাওয়া মানুষগুলো মনটাকে প্রায়োরিটি দেয়, তাই তারা “ mentally use” হয় বেশি। নিজের চোখের সামনে নিজের মৃত্যুকে কল্পনা করা, তারপর পরিবার পরিজনদের কী হবে… এসবও ভেবে ফেলে অনেকে… ঠিক এইরকম একটা মুহুর্তে আমাদের আশেপাশের “নিশাত” রাও হয়তো মনে মনে বলে – যেন ডুবে যাচ্ছি গভীর জলে, আমাকে তোলার কেউ নেই।
যদি কেউ থাকতো! নাহ, কারোর না থাকাই ভালো। কারণ কেউ থাকলে সে আরও বেশি করে ভেঙেচুরে দিয়ে যায়।
আমরা ভুলে যাই জীবনটাকে উপভোগ করার জন্য ছোট ছোট মুহুর্ত গুলোই যথেষ্ট। জীবনে যাই হয়ে যাক না কেন, নিজেকে ভালোবাসতে হবে।
“ আইসক্রিম, আম্মুর হাসি, হাওয়াই মিঠাই, বৃষ্টি, সাগর, আকাশ৷ আব্বুকে জড়িয়ে ধরা, ইদের নতুন জামা, জোনাকি পোকা, পাখির ডাক, বেলিফুলের গন্ধ, এরকম আরও কতকিছুর জন্যই তো বেঁচে থাকা যায়।”
কি যায় না???
“ Depression is real and suicidal tendency is real and by any means i am going to fight this because life is beautiful ”
যারা এখনও “তিথিডোর” নাটকটি দেখেননি, অবশ্যই দেখুন।
অভিনয় : মেহজাবীন চৌধুরী, প্রান্তর দস্তিদার,আবুল হায়াত, শামীমা নাজনীন সহ আরও অনেকে…
গল্প: জাহান সুলতানা
সময়: ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড
প্লাটফর্ম : চ্যানেল আই প্রাইম (ইউটিউব চ্যানেল)
আপনার মতামত লিখুন :