ডাবল হান্ড্রেড করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে, যা বললেন ম্যাক্সওয়েল


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৩, ১:৩৬ অপরাহ্ন
ডাবল হান্ড্রেড করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে, যা বললেন ম্যাক্সওয়েল

দলের বাকি সবাই যখন ব্যর্থ, তখন ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসেবে অভিভূত হলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইনজুরিতে পড়েও হাল ছাড়েননি, গড়েছেন রেকর্ড। ডাবল হান্ড্রেড করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে আসরের সেমিফাইনালে তুলে ছেড়েছেন মাঠ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ম্যাক্সওয়েল বীরত্বে ১৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক করা ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত থাকেন ১২৮ বলে ২০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে। ইনিংসটি তিনি সাজান ১০টি ছক্কা ও ২১টি চারে। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।

আগে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের এক ইব্রাহিম ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই সেভাবে সফল হতে পারেননি। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম সেঞ্চুরির মালিক বনে যাওয়া এই ওপেনার অপরাজিত থাকেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। খেলেন ১৪৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৯ রানের অসাধারণ ইনিংস।

রান তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুতেই ট্রাভিস হেডকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর তিনে নেমে ঝড়ো শুরু করেন মিচেল মার্শ। তবে ১১ বলে ২৪ রান করে নাভিন উল হকের শিকার হন তিনি। ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নারও। ১৮ রানে উইকেট হারান তিনি। মিডল অর্ডারে লাবুশানে ও জস ইংলিশও বিদায় নেন দ্রুত।

এরপর মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল স্টার্ক এসে বিদায় নেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। পরের গল্পটা কেবলই ম্যাক্সওয়েলের। তাকে সঙ্গ দেন প্যাট কামিন্স। ব্যাট হাতে তিনি টিকে থাকলেও একাই দলকে জেতান ম্যাক্সওয়েল। ৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করা এই ব্যাটার ৭৬ বলে তুলে নেন হান্ড্রেড। শতক হাঁকিয়ে পড়েন ইনজুরিতে।

আফগানিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট পান রশিদ খান, নাভিন উল হক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

অতিমানবীয় ইনিংস সম্পর্কে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘যখন ফিল্ডিং করছিলাম তখন বেশ গরম ছিল। আমি গরমে তেমন দৌড়াতে পারছিলাম না, নিজেকে তৈরি করেছিলাম ব্যাটিংয়ের জন্য। আমি পায়ে কিছুটা ব্যথা অনুভব করেছিলাম। আমি নিজের পরিকল্পনায় অটল ছিলাম। সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি।’

ম্যাক্সওয়েল একবার এলবিডব্লিউ আউট হয়েছিলেন, কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। পাশাপাশি তার একটি ক্যাচও ফেলে দেন মুজিব। ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘এলবিডব্লিউতে জীবন পাওয়ার পর আমি আরও ভালো খেলার চেষ্টা করি। ফ্লাডলাইটের নিচে বলে সুইং করছিল। তারা দারুণ বোলিং করেছে। যদি আমি ক্যাচ মিসের কোনো সুযোগ না দিতাম তা হলে জিনিসটা আরও ভালো হতো, তবে সেই সুযোগটাই আমি কাজে লাগিয়েছি।’

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: