মেসি-আলভারেজের গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২৪, ৩:০৩ অপরাহ্ন
মেসি-আলভারেজের গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন লিওনেল মেসি। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে কানাডাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠে গেল আর্জেন্টিনা।

বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে কানাডাকে ২-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। সবশেষ আট আসরে ষষ্ঠবারের মতো কোপা আামেরিকার ফাইনালে জায়গা করে নিল বিশ্ব চ‍্যাম্পিয়নরা।

স্পেনের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের হাতছানি মেসি-দি মারিয়াদের সামনে। ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২ বিশ্বকাপও জিতেছে আর্জেন্টিনা। এবারও লাতিন আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে শিরোপা ঘরে রেখে দেওয়ার সুযোগ স্কালোনির দলের সামনে।

২০১০ বিশ্বকাপ জয়ের আগে ও পরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল স্পেন।

ম্যাচের ২২তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো দে পলের থ্রু বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষককেও পরাস্ত করেন হুলিয়ান আলভারেজ। চলতি কোপা আমেরিকায় দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে আলভারেসের এটি নবম গোল।

ডিয়েগো ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড।

বিরতি থেকে ফিরে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি লিওনেল স্কালোনির দল। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে দারুণ দলীয় আক্রমণে কানাডার রক্ষণে ভীতি ধরায় তারা। আক্রমণ পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেনি তারা। অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে যান এনসো ফের্নান্দেস। তার শটে আলতো ছুঁয়ে দেন মেসি। তাতেই বল দিক পাল্টে গোলরক্ষকের মুখে লেগে জালে জড়ায়।

চলতি কোপা আমেরিকায় এটিই আর্জেন্টিনা অধিনায়কের প্রথম গোল। সবমিলিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ১৪তম। এনিয়ে কোপা আমেরিকার ভিন্ন ৬টি আসরে জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ গোলের মালিক।

ব্রাজিলের জিজিনিও–র পর কোপা আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি আলাদা টুর্নামেন্টে গোল করলেন মেসি।

খানিক পর ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন আলভারেজ। কিন্তু ডান প্রান্ত থেকে দি মারিয়ার দারুণ পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

শেষ দিকে উজ্জ্বীবিত ফুটবল খেলে কানাডা। বল দখলে এই অর্ধে আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে ছিল তারা। বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগও তৈরি করা দলটি ম্যাচের শুরুতেই খেলেছে দারুণ, কিন্তু পায়নি জালের দেখা।

৬৮ মিনিটে আরও পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন কানাডা তারকা আলফোন্সো ডেভিস। ম্যাচের ৮৯ থেকে ৯০ মিনিটে গোল করার দুটি সুযোগ পেয়েছে কানাডা। ৮৯ মিনিটে বদলি নামা তানি ওলুয়াসারির বক্সের মাথা থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। খানিক পর হেডে গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করে কানাডা।

৭৭তম মিনিটে একসাথে তিন পরিবর্তন আনেন আর্জেন্টিনা কোচ। দি মারিয়ার জায়গায় নিকোলাস গনসালেস, অ্যালেক্সিস ম্যাচ অ্যালিস্টারের পরিবর্তে এসেকুয়েল পালাসিওস ও আলভারেসের পরিবর্তে লাওতারো মার্তিনেসকে নামান স্কালোনি। তাতেও খেলায় গতি বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রেখে ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে লা আলবাসিলেস্তেরা।

বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার সকালের ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার মধ্যে বিজয়ী দল।

আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: