কারফিউ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না : প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুলাই ২৫, ২০২৪, ২:৩৪ অপরাহ্ন
কারফিউ দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না : প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ধ্বংসাত্বক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আসতে পারে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কার্ফিউ দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

আমি তো চাইনি আমাদের গণতান্ত্রিক ধারায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটুক, আমাদের কারফিউ দিতে হোক। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে এটা আসুন এটা আমাদের কাম্য ছিল না।

কিন্তু আজকে না দিয়ে কোন উপায় ছিল না। না দিলে আরও যে কত লাশ পড়তো তার হিসেব নেই। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সম্পাদক ও হেড অব নিউজ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে ক্ষতিটা কার? নিশ্চয়ই জনগণের।

এখানে তো জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে, এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে, জনগণকেই সোচ্চার হতে হবে। কারণ এরা তো কোনদিনই কোন দেশে ভালো কিছু করতে পারেনি। বিগত বছরগুলো গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত থাকা এবং স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা জঙ্গীবাদ দমন করে দীর্ঘসময় একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। সেই জায়গাটায় আজকে চরম একটা আঘাত দিল। তিনি বলেন, সত্যিকথা বলতে কি দীর্ঘ সংগ্রামের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত ছিল, দেশে উন্নতিও করতে পেরেছিলাম। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছি আর কে পেরেছে এর আগে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানতাম যে ইলেকশন করতে দিবে না। তারপরেও আমরা ইলেকশন করে ফেলেছি। ইলেকশন করার পর ইলেকশন গ্রহণযোগ্য হবে না। সেটাও গ্রহণযোগ্য আমরা করতে পেরেছি। সরকার গঠন করতে পেরেছি। আমার একটা ধারণা ছিল এই ধরনের একটা আঘাত আবার আসবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ করবো। যারা এই ধরনের দেশের সর্বনাশটা করলো, যারা আজকে গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য, তাদের আয় বৃদ্ধি, তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য, তাদের জীবন মান উন্নত করবার জন্য যতগুলো স্থাপণা তৈরি করেছি সবগুলোতেই তারা আঘাত করেছে, সবগুলো ভেঙে দিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোকে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটা ঠিক অনেকে গুজবে কান দেয়।

কান নিয়ে গেছে চিলে, ওটার পেছে ছোটে, কানে হাত দিয়ে দেখলো না কান আছে কি না। মিথ্যাচারের হাত দেখে মানুষকে রক্ষা করেন, মানুষ যাতে সঠিত তথ্য জানতে পারে সেভাবে সংবাদগুলো পরিবেশন করুন। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি এর সুফলও মানুষ পেল, কুফলও মানুষ পেল। আপনাদের কাছে যা তথ্য আছে আপনারা তা ব্যাপক ভাবে প্রচার করে জনমত সৃষ্টি করুন।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: