বিরহ-বেদনা, বিদ্রোহের ও সাম্যের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী আজ (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০)। একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী ছিলেন কাজী নজরুল।
তিনি নাটক, সংগীত, উপন্যাস ও দর্শনেও বর্ণাঢ্য অবদান রেখেছেন। যা আলোকিত করেছে বাংলা সাহিত্যকে। এছাড়া সংগীতশিল্পী ও সম্পাদক পরিচয়েও পরিচিত। তবে এসবের আড়ালে হৃদয় দিয়ে নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের আর্তি অনুভব করেছিলেন তিনি। তাই তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখা তার সেসব কবিতা এখনো কোটি তরুণের রক্তে স্ফুলিঙ্গ জ্বালায়।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে, ১৮৯৯) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম তার। শৈশব থেকে জীবনের তারুণে পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জীবনের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় নানা পেশায় জড়িয়েছেন তিনি। আঠার বছর বয়সে, অর্থাৎ ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীতেও যোগ দেন। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।
১৯২২ সালে ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন। মাত্র ২২ বছরের লেখক জীবনে প্রায় ৩ হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছেন তিনি। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছিল তাকে।
সংগীত ও চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন কাজী নজরুল। তার পরিচালিত সিনেমা ‘ধ্রুব’তে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা বিশ্বের বিশাল এক প্রতিষ্ঠান এবং অভিধান।
১৯৭২ সালে পরিবারের সদস্যসহ এ কবিকে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। এরপর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বাংলাদেশেই বসবাস করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। বিদ্রোহী এ কবির ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :