যে শহরে বাস করতে পুরুষের একাধিক প্রেমিকা থাকা বাধ্যতামূলক !


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১, ২০২৩, ৩:২২ অপরাহ্ন
যে শহরে বাস করতে পুরুষের একাধিক প্রেমিকা থাকা বাধ্যতামূলক !

বিশ্বের জনবহুল দেশ চীন। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি। এমনি এক রীতি দেখা গেছে চীনের গুয়াংঝায়ের ডংগুয়ান শহরের। যে শহরে পুরুষের একাধিক প্রেমিকা থাকা বাধ্যতামূলক।

আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিষয়ে আপত্তি নেই সেই সমস্ত পুরুষদের বান্ধবীদেরও৷ অনেকেই এই শহরের পুরুষদের বহুগামী বলে ভুল বুঝে থাকেন। তবে পুরুষরা সে বিষয়ে কান দেয় না। সমাজের স্বার্থেই নাকি তাদের দুই থেকে তিনটি বান্ধবী রয়েছে। কিন্তু কেন এমন নিয়ম রয়েছে? এই ডংগুয়ান শহরে পুরুষদের এই বহুগামীতার জন্য দায়ী কে?

সুন্দরী নারী বা পুরুষদের চরিত্র কোনোটিই এর জন্য দায়ী নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এই নিয়মের জন্য দায়ী ওই অঞ্চলের নারী ও পুরুষের অনুপাত। এই শহরে প্রতি ১০০ জন নারী পিছু পুরুষের সংখ্যা ৮৫।এমন অনুপাতেরও নানা কারণ রয়েছে। এই শহরে একাধিক উৎপাদন সংস্থার কারখানা রয়েছে। সেখানে পুরুষদের বদলে নারী কর্মী নিয়োগ করতে বেশি উৎসাহী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি উৎসাহী, দক্ষ এবং বিশ্বস্ত৷ এই ধারণার কারণে বিভিন্ন শহর থেকে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে নারীকর্মী খুঁজতে আসে। আর সেই কারণে এই শহরে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা অসম হারে বেড়ে গিয়েছে।

কোনও কোনও বাসিন্দা মনে করে, এই শহরে কাজের তুলনায় বান্ধবী খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ। এখানকার মহিলা কর্মচারীরা যেমনই সুন্দরী তেমনি মিশুক। ফলে তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে যান খুব সহজে।নারীদের চিত্র এমন হলেও পুরুষদের কপাল কিন্তু এখানে খারাপ।কারণ পুরুষরা এখানে সহজে কাজ পান না। কোন কাজ করলেও খুব সামান্য পারিশ্রমিক পান। যদিও কম আয় করলে কোন সমস্যা নেই, কারণ তাদের বেশিরভাগ খরচ বহন করেন তাদের বান্ধবীরা৷ আসলে এখানে প্রচুর মহিলা রয়েছেন যাদের চাকরির জন্য কোন সমস্যা নেই কিন্তু তাদের একজন পুরুষ সঙ্গী দরকার৷ তাই সঙ্গীর ব্যয় নির্বাহ করতে তাদের কোন আপত্তি নেই৷

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: