

মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বরে সিপাহী জনতা আর সেনাবাহিনীর এক পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন তাই দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনে লন্ডভন্ড হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ষড়যন্ত্র আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে।
সিপাহী আর বিদ্রোহী জনতা এই দুইয়ে কোন উপায় না পেয়ে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে আরোপণ করে এই স্বাধীন দেশের দায়িত্ব । এর পর থেকে প্রতিটি সরকার সরকারী ছুটিসহ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত পালন করে আসছে কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দিবসটি পালন করা থেকে বিরত রাখে আর বাতিল করে সরকারি ছুটি।
ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
৬ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘটে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ এক বিপ্লব, যা ইতিহাসে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে স্থান লাভ করেছে। ওইদিন রাজধানী ঢাকা ছিল মিছিলের নগরী। পথে পথে সিপাহী-জনতা আলিঙ্গন করেছে একে অপরকে।
কামরুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক
www.abnews.com.au




































আপনার মতামত লিখুন :