হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দু’দেশের মধ্যে ১৯৫৫ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিচার করতে সম্মত হয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই আদালতে ইরানের এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিচার না করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পক্ষে রায় দিল।
ইরানের ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার পর ২০১৮ সালে ইরান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেছিল।
আদালতের প্রধান বিচারপতি গতকাল (বুধবার) তার রায় ঘোষণা করে বলেন, আমেরিকা এ বিচারের শুনানি স্থগিত করতে যে আবেদন জানিয়েছিল বেশিরভাগ বিচারক তাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করেননি। তারা বরং আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়েছেন।
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইরানের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে বলেছিলেন, মার্কিন সরকার তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে ১৯৫৫ সালে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল। বিশেষ করে ইরানে মানবিক পণ্য সরবরাহকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ওই আদালত।
২০১৫ সালে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা ২০১৮ সালের মে মাসে বের হয়ে যায়। এরপর ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ওই বছরেরই জুলাই মাসে ইরান নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করে। ৩ অক্টোবর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচার আদালত ইরানের পক্ষে সেই মামলার রায় দেয়।
কিন্তু সে রায় বাস্তবায়ন না করে আমেরিকা উল্টো এই বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিল।
2021-05-04 19:47:52
আপনার মতামত লিখুন :