কামরুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এর ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়, টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। সাত বছরে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
বাংলাদেশে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে, পাচার হচ্ছে প্রায় তারই সমান অর্থ। গত ১০ বছরে পাচারের ৬ লাখ কোটি টাকাকে ৮৪ হাজার গ্রাম দিয়ে ভাগ করলে প্রতি গ্রামে প্রায় ৭ কোটি পায়। গড়ে ১৫টি গ্রামে একটি ইউনিয়ন ধরলে প্রতি ইউনিয়ন থেকে পাচার গেছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। অথচ প্রতিটি ইউনিয়নে ১টা করে ১০৫ কোটি টাকা মুল্যের ইন্ডাষ্ট্রি দাড় করানো যেত কোন প্রকার ব্যাংক লোন ছাড়াই। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যে টাকা পাচার হয়, এটি তার আংশিক চিত্র মাত্র প্রকৃতপক্ষে পাচারের পরিমাণ অনেক বেশী।
অর্থপাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সদিচ্ছার অভাবের পাশাপাশি পৃষ্টপোষকতাও স্পষ্ট হয়েছে। যারা অর্থ পাচার করছে তারা আর্থিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাসীনচক্রের সমর্থনপুষ্ট কিছু ব্যাক্তি।
অর্থ পাচারের তালিকায় অষ্ট্রেলীয়ার নামটি ছিল চতুর্থ, ২০২৩ সালে সেটিই হয়তো হবে প্রথম। অষ্ট্রেলীয়াতে অর্থ পাচারকারীদের রুখে দিতে সঠিক তথ্য অবহিত করা আপনার দায়িত্ব, অষ্ট্রেলিয়ান ‘প্রাইভেসি-ল’ অনুসারেই আপনার পরিচয় গোপন রাখা হবে, তথ্য পাঠাবার ঠিকানা-
info@abnews.com.au
আপনার মতামত লিখুন :