১২ হাজার ভরি সোনা যেভাবে গায়েব হলো


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১, ২০২৪, ৪:৫৩ অপরাহ্ন
১২ হাজার ভরি সোনা যেভাবে গায়েব হলো

সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এদিকে, সোনা গায়েবের এ ঘটনায় আগে থেকেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেখানে সাত হাজার ভরির কিছু বেশি সোনার খোঁজ না পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মামলায় সোনা প্রকৃত গ্রাহককে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় খোঁজ না পাওয়া সোনার প্রকৃত পরিমাণ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির (বার্ড) ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘সমবায় দাঁড়াতে পারছে না, কারণ সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মনমানসিকতার অভাব। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়, কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই। তাছাড়া গ্রাহকের রাখা ১২ হাজার ভরি সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’

ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ঘটনাটি তিন বছর আগের এবং প্রায় আট হাজার ভরি সোনা কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া গ্রাহকরা তুলে নিয়েছিল। পরে এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে, যা এখনো বিচারাধীন আছে।

ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসানুল গনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ওই ঘটনায় ব্যাংকের একটি চক্র জড়িত ছিল এবং তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সত্যি। ব্যাংকের কিছু লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন আছে।

প্রসঙ্গত, সমবায় ব্যাংক মূলত একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। সমবায় আইনের বিধান অনুযায়ী এটি সমবায় খাতে অর্থ সরবরাহকারী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি সমবায় সমিতির ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে ঋণ দিতে পারে।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: