চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ৭ জন কর্মীও রয়েছেন।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য মতে, নিহতদের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী এখনো সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আরো ২ জন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, বিভাগীয় কর্মীর বাইরে মোট ১০ জন নিহত এবং ৯১ জন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করেছি আহত দেড়শ জনের মতো হবে। কিন্তু আহত আরও অনেক বেশি। এখানে অনেক চিকিৎসক এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছেন। আমরা অন্যদেরও আসার আহ্বান জানিয়েছি। হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স রোগীদের সেবায় আছেন। আমরা ভিড় কমিয়ে শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। যার ফলে সেখানে থাকা ক্যামিক্যালের প্রভাবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে এসময় প্রায় ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট এবং পরবর্তীতে আরও ১৬টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে ওঠে, আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :