উপরোক্ত সাত শ্রেনীর ব্যাক্তিদের সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:-
ওযূ অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তি
নামাজের জন্য মসজিদে অপেক্ষারত ব্যক্তি
প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারী ব্যাক্তি
রাসূল (সাঃ) এর প্রতি দুরূদ পাঠকারী ব্যাক্তি
অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়া ব্যাক্তি
মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়াকারী ব্যাক্তি
কল্যাণের পথে দানকারী ব্যাক্তি
অযূ অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তি:
হাদিস নংঃ-০১
রাসূল (সাঃ) বলেনঃ-
যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় (ওজূ অবস্থায়) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে, অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথেই আল্লাহ তালার সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে, হে আল্লাহ! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল
নামাজের জন্য মসজিদে অপেক্ষারত ব্যক্তি:
হাদিস নংঃ-০২
রাসূল (সাঃ) বলেন-
তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যখন ওযূ অবস্থায় নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে সে যেন নামাজ রতই থাকলো, তার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো, হে আল্লাহ! তুমি তার প্রতি দয়া করো।
প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারী:
হাদিস নংঃ-০৩
রাসূল (সাঃ) বলেনঃ-
প্রথম কাতারের নামাযীদেরকে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা ক্ষমা করেন ও ফেরেশতারা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
রাসূল (সাঃ) এর প্রতি দুরূদ পাঠকারী:
হাদিস নংঃ-০৪
যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তা’য়ালা তার ওপর সত্তর বার দয়া করেন ও ফেরেশতারা তার জন্য সত্তরবার ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়া:
হাদিস নংঃ-০৫
রাসূল (সাঃ) বলেনঃ-
যে কোন মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করেন, তারা দিনের যে সময় সে দেখতে যায় সে সময় থেকে দিনের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে এবং সে রাতের যে সময় দেখতে যায় সে সময় থেকে রাতের শেষ পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে।
মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়াকারী:
হাদিস নং-০৬
রাসূল (সাঃ) বলেন-
কোন মুসলিম তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য দোয়া করলে তা কবুল করা হয় এবং তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। যখনই সে ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে তখন সে নিযুক্ত ফেরে।
2021-01-30 06:29:31
আপনার মতামত লিখুন :