পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৪, ৩:০৮ অপরাহ্ন
পঁচাত্তরের পর  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের পর গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গতকাল দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে সেই ’৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সেখানে সব থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবারের নির্বাচন হয়েছে।’

শেখ হাসিনা গতকাল নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগসহ দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানান। তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ছিল। বিএনপি নানা অপকর্ম করে নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে, তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমি জানি দেশে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ একটু কষ্টে আছে। কিন্তু সবাই যদি অনাবাদি জমি চাষ করি, তাহলে খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং উদ্বৃত্ত মানুষকে দিতেও পারব। মানুষের কল্যাণে কাজ করছি, এ কাজ আরো করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রত্যেক জেলায় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘‌সারা দেশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। দেশের উন্নয়নে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বলব সরকার যে প্রকল্প আর কাজ দেয়; সেগুলো যেন যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। তারা যেন আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এ আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই স্থানীয় সরকারে কাজ করবেন, যেন মানুষ সুফল পায়। কাজের মান ঠিক রাখলে মানুষ সুফল পাবে।’ ‘তৃণমূলে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করুন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে গণভবন থেকে রাজশাহীতে ‘৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪’-এর চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নতুন প্রতিভা অন্বেষণে ও দেশের তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের তৃণমূলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‌স্থানীয় প্রতিভাবানদের সামনে আসার সুযোগ তৈরি করতে সব ধরনের আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, আন্তঃজেলা এবং আন্তঃ-উপজেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করুন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে, ফুটবল স্টেডিয়াম আছে সেগুলো আলাদা। কিন্তু উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আমি মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়ে, সেখানে যেকোনো ধরনের স্পোর্টস হবে, খেলাধুলা চলবে, আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলা, উপজেলা পর্যন্ত খেলাধুলা হবে, যা আমাদের ছেলে-মেয়েদের দেশে-বিদেশে নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরার আরো সুযোগ করে দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আমি মনে করি লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মনমানসিকতার দিক থেকে আরো উদার হবে, উন্নত হবে ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। সেভাবেই তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।’

‘দেশীয় খেলায়’ আরো বেশি গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌আমাদের ছেলে-মেয়েরা অনেক ভালো ও মেধাবী। একটু সুযোগ করে দিলে তারা আরো ভালো করতে পারবে। তাছাড়া ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল, টেনিস, বাস্কেটবল, বেসবল, দৌড় প্রতিযোগিতা, হার্ডল রেস, রিলে রেস অথবা ভারোত্তোলন বা অন্য যেসব খেলাধুলা রয়েছে, সেগুলোয় আমাদের যেমন উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে; তেমনি দেশী যে খেলাগুলো রয়েছে যেমন ডাংগুলি, হাডুডু থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেলাধুলা যেগুলো আগে প্রচলিত ছিল, সেগুলোও আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: