বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর দুই মাস। মেয়াদ শেষ হলে কী হবে তা নিয়েই চলছে যত জল্পনা কল্পনা। দল ও পরিবার কি ভাবছে এ বিষয়ে সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। তবে দলের একটি সূত্র বলছে, খুব দ্রুতই শর্ত শিথিল।
মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করবেন তার পরিবার। যদিও এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি পরিবারের কেউ। দলটির এক নেতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও সরাসরি কোন উত্তর দেননি। তবে তিনি মনে করেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা দরকার।
বেগম খালেদা জিয়া তাঁর জামিনের অধিকাংশ সময় পার করেছে। জামিনের চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এবং তাঁর জামিনের ৬ মাস আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ। যদি বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তাঁর জামিনের আবেদন বাড়ানো না হয় তাহলে হয়তো তাঁকে ২৫ সেপ্টেম্বর আবার কারাগারে যেতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রাপ্ত জামিনের এখনো ৬০ দিন বাকি আছে। কাজেই ৬০ দিন পর তাঁকে কারাগারে ফিরে আসতে হবে। তিনি যদি জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন তাহলে কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে সরকারের একজন।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, এরকম কোন আবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। আবেদন পাওয়ার পরেই তা বিবেচনা করবো। একদিকে বিএনপি বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী বলছেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে ভুল করবে সরকার। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের মতে, মুক্তির প্রক্রিয়াটি আইন সম্মত ছিল না। আবারও মেয়াদ বাড়ানো সঠিক হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকার যে সহানুভূত দেখিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানাই।
তার মানে এই নয় আপনি আইন ভঙ্গ করবেন। এর আগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ দুই শর্তে মুক্তি পান বেগম জিয়া।
2021-01-30 06:29:31
আপনার মতামত লিখুন :