শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: দায় কার?


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : জুন ৩, ২০২২, ৬:২৮ অপরাহ্ন
শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: দায় কার?

যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্জলা পা’চাটা দলিয় চামচা হয়। হাজী সেলিমকে সম্বর্ধনা দিবে বলে দেড় ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে যখন। যখন একজন শিক্ষক তো দূরে থাক ভিসি যখন কর্নেলকে স্যার স্যার বলে মুখে ফেনা তোলে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ শিক্ষার্থী যদি আত্মহত্যা না করে তবে দোষের হবে না? সকল শৃঙ্খল মেনে নিয়ে মিউ মিউ করবে আর পায়ের কাছে ঘুর ঘুর করবে এমনটা কি তারুণ্য? যে সাহসী সে নিজেই নিজের মুক্তির পথ খুঁজে নেয় ভাঙ্গে জেলখানার আগল। সে নিজেকে মুক্ত করেছে চলমান সমাজের বীভৎসতা থেকে। স্যালুট তাকে কারন সে জানে দেশের ভেতরে স্বাধীন একটি দেশ বিশ্ববিদ্যালয়।

জানি অনেক সার্টিফিকেট ধারী বাঞ্চত এই লিখা পড়ে আমাকে প্রশ্ন করবে সে জন্য আত্মহত্যা করেছে নাকি? প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দিবেন সে সুযোগ নাই, একেবারেই নাই। পরাধীনতায় প্রেম আসে কি করে? কৃতদাস কি প্রেমিক হয় নাকি মুক্তির জন্য মরিয়া হয়? শিক্ষার্থী তার মুক্তি খুঁজে নিয়েছে। বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী চুপ থাকুন, ইনিয়েবিনিয়ে পিতির পিতির করে অন্তত মিথ্যা বলবেন না। সমাজ বিশ্লেষণ করবেন না হুদায়। রাজনীতি সমাজ নিয়ন্ত্রণ করে, আপনার সমাজ বিশ্লেষণে এই কথা যদি বলতেই না পারেন তবে এই আত্মহত্যার বিশ্লেষণ করবেন কি দিয়ে। মনোবিকলোনের প্রধান ক্ষেত্র সামাজিক অবস্থা এবং অবস্থান সেটিও নিয়ন্ত্রিত হয় রাজনীতি দিয়ে। মনোবিজ্ঞানী কো মনোবিশ্লেষন করবেন মনের প্রাথমিক অবস্থা ইড ইগো স্যুপার ইগো নাকি ভিন্ন কিছু?

‘রিলেশন’ ‘সম্পর্ক’ দুটা আলাদা শব্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টাররা এ শব্দ দুটাকে গুলিয়ে ফেলে বলেই এই কুকুর গুলা ঘেউ ঘেউ করে কেবলই। এরা জানেও না রিলেশনের অর্থ কি। সম্পর্কের প্রতিশব্দ যে রিলেশন হতে পারে না তাও এরা বুঝে না। বুঝবে কি করে এদের ঘরে ডিকশেনারী ও থাকে না। থাকলেও একটা – বাংলা টু ইংরেজি। ইংরেজি টু বাংলা কিনতেই পারে না সময়ের অভাবে। আর একাধিক অভিধান এদের ঘরে থাকবে সেটা চিন্তা করা হবে পাগলামি। এই সালার জাত ‘সম্পর্ক’ ভুলিয়ে দিতে তাই মানুষ কে বাধ্য করে এবং আলাং ফালাং কথা বলে মানুষকে রিলেট করতে চায় রিলেশনে বেঁধে।

দেখবেন সকলেই ঝাঁপায়ে পড়বে ‘সম্পর্কের’ ইংরেজি যদি ‘রিলেশন’ না হয় তবে কি এতো দিন পণ্ডিতেরা ভুল শিখাইছে? তুই বেশি জানোস? তুইই একমাত্র আঁতেল? তাদের আক্রমণের তীরটা হবে আমার দিকে এমনই। কিন্তু এই সারমেয়রা মনেও করবে না যে, সব ভাষার সব কিছুর ঠিকঠাক প্রতি শব্দ অন্য ভাষায় মিলে না এই কথা পণ্ডিতেরা বলেছেন সুরুতেই সুতরাং – “না পাইতে নাতিই ভাতার, নাতিরে নিয়া দরিয়া সাঁতার।” তাই আগের পণ্ডিতেরা ফাটুং ফুটুং বিদেশী শব্দ বাংলায় ব্যবহার করতো না। বিদেশী শব্দ বাংলায় ব্যবহার করত একদম বাংলা শব্দ হিসাবে আত্তীকরণ করে।

একটি ফেসবুক পোষ্টে যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজের পরিচয় লুকায়ে সাধারণ মানুষ হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে মিথ্যাচার করে তখন এই কথা বলা ছাড়া উপায়ই বা কি? পাছে মানুষ তাকে প্রশ্ন করে –
আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করে কেন?
জানি এমন প্রশ্ন করলে উনারা বলবেন –
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় ভাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থী।

কিন্তু যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্বোধনে কোন কথা বলবেন তখন দেখবেন সকল বিশ্ব বিদ্যালয়য়ের শিক্ষকগণ রসুনের মত তাদের সকলের পুটকি একটা নির্দিষ্ট পয়েন্টে এক করে হালুম করে উঠছে।
এরই বা কারন কি? এটা কি পারিবারিক শিক্ষা? এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা? নাকি এটি রাজনৈতিক শিক্ষা – যে রাজনৈতিক শিক্ষা আমাদের খণ্ড খণ্ড করে বিভক্তি শিখিয়ে চর দখলের মত ক্যাম্পাস দখল করতে শিখায়।

এই শিক্ষা এই শিক্ষা ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রেখে আপনি চাইবেন আপনার সন্তান নিরাপদে থাকুক ক্যাম্পাসে, এই শিক্ষা এই পদলেহন কারী শিক্ষকদের সমঝে চলে তোয়াজ করে আপনার সন্তান শিক্ষিত হয়ে উঠবে? খুঁজে দেখবেন না এই শিক্ষা ব্যাবস্থার গলদ কোথায়? যারা এই গলদ খুঁজে বের করতে পারেনা তারা যদি এমন প্রশ্ন করে তবে আপনি তাদের আঁতেল বলে ব্যাঙ্গ করবেন, স্যাটায়ার করবেন?

৫১ বছরের বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তো কম আন্দোলন হয় নাই। পেয়েছে কি কোন শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশ? “শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড” – এটা যদি আপ্তবানী না হয় তবে দেশের সব চেয়ে উচু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই হাল রেখে দেশের উন্নয়ন হয় কি করে?

উন্নয়নের বাংলাদেশ কি সংস্কার ছাড়া প্রত্যাশা করেন। একব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা গচ্ছিত রেখে দেশের উন্নয়ন করবেন?

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বাঁকি লড়াইটা লরবেন নাকি ‘চেতনা’বাজি করে ভারতপন্থি বা পাকিস্তানপন্থি বলে সীল মারবেন সেটা একান্তই আপনার বিষয়।
আমি বাংলাদেশ পন্থি। আমরা বাংলাদেশ পন্থি। দেশ শাসনের পদ্ধতি বলুন আর শাসনতন্ত্র বলুন অথবা সংবিধান বলুন সেটির সংস্কার ছাড়া কোন কিছুই ঠিক করা সম্ভব নয় সেটি পরিষ্কার। একটি দেশ চলে তার শাসনতন্ত্র মেনে। সকল আইন তৈরি হয় শাসনতন্ত্রের উপর ভিত্তি করেই।

‘রাষ্ট্র সংস্কার’ একটা প্যারাডাইমের ভেতরে প্রবেশ করেছে, মাঠে গড়িয়েছে #রাষ্ট্র_সংস্কার_আন্দোলনের হাত ধরে। ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ ভিন্ন আপনি আর কোন রাজনীতিই করতে পারবেন না। সে আপনি যেইই হউন না কেন।

আদীল
ঢাকা

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: