ইসরায়েলের নিয়মিত পদাতিক ও সাঁজোয়া ইউনিটগুলো দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযানে যোগ দিয়েছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) দেশটির সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে। তবে নতুন করে সেনা পাঠালেও তাদের এই সামরিক অভিযান হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে থাকবে বলে দাবি করেছে তেল আবিব।
মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) লেবাননে প্রথমবারের স্থল অভিযানের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তখন তারা জানায়, তাদের কমান্ডো ও প্যারাট্রুপ ইউনিটগুলো লেবাননে প্রবেশ করেছে।
এরপর ইসরায়েল জানায়, তাদের বিশেষ বাহিনীর ইউনিটগুলো কয়েক মাস ধরে সীমান্তের ওপারে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে স্থল অভিযানে জড়িত রয়েছে। এ সম তারা বাড়ির নিচে টানেল ও অস্ত্রের গুদাম আবিষ্কার করে।
আরও পড়ুন: বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য, কী হতে পারে ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ?
আজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানাল, তাদের ৩৬তম ডিভিশনের পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে গোলানি ব্রিগেড, ১৮৮তম সাঁজোয়া ব্রিগেড ও ৬ষ্ঠ পদাতিক ব্রিগেড রয়েছে। এর মানে হলো ইসরায়েল মুখে সীমিত স্থল অভিযানের কথা বললেও তাদের এই অভিযান সীমিত কমান্ডো অভিযানের বাইরে চলে গেছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। তাদের হামলায় লেবাননে প্রায় দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা।
আপনার মতামত লিখুন :