রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মদিন


নিউজ ডেক্স প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২০, ২০২৪, ৫:৪০ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মদিন

ভিশনারি এক স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, কিংবদন্তী রাষ্ট্রনায়ক আর স্বাধীনতর ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আজ ৮৮তম জন্মদিন। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্ম ও শৈশবে তাঁর ডাক নাম ছিলো কমল। পিতার নাম মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্তির পর তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে গেলে তাঁর স্কুল আর কলেজ জীবন করাচিতেই সমাপ্ত করেন। ১৯৫৩ কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেই কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬০ সালে দিনাজপুর শহরের বালিকা, খালেদা খানমের সঙ্গে জিয়াউর রহমান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

২৭শে মার্চ ১৯৭১ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। তাঁর বাহিনী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।

৭ই নভেম্বর সিপাহি জনতা বিপ্লবের পর তিনি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন আর দেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আভাস দিয়ে তিনি বলেছিলেন
I will make politics difficult for the politicians.

১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জিয়াউর রহমান দেশে শান্তি শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে আত্মনিয়োগ করেন। নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল এবং অবাধ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে তিনিই গণতন্ত্রায়নের ব্যবস্থা করেন।

১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্য তারই নেতৃত্বে শুরু এবং পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সার্ক।

৩০শে মে ১৯৮১ সালে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুরে নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিঁনি শহীদ হন। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে তাঁকে দাফন করা হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়ার জানাজায় বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ জনসমাগম ঘটে যেখানে প্রায় ২০ লক্ষ্যাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিল।

কামরুল ইসলাম
প্রধান সম্পাদক

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: