চোটের সঙ্গে লড়াই শেষ হয়নি লিওনেল মেসির। তবু ইন্টার মায়ামির খেলায় মাঠেই ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। গ্যালারিতে বসেই উপভোগ করলেন লিগস কাপে মায়ামির রোমাঞ্চকর এক জয়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে নিজেদের মাঠ ফ্লোরিডার চেস স্টেডিয়ামে দশজনের দল নিয়েও আসরের রাউন্ড ৩২-এর ম্যাচে টরেন্টোকে ৪-৩ গোলে হারায় মায়ামি। দলের জয়ে চার গোলেই অ্যাসিস্ট ছিলেন জর্দি আলবা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ডেভিড মার্তিনেস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিনত হয় মায়ামি। ততক্ষণে অবশ্য স্কোরলাইন ৩-১!
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট ছিল পুরোটাই পাগলাটে। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এদিন তৃতীয় মিনিটেই মাতিয়াস রোয়াসের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। আট মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়েগো গোমেস। খানিক পর স্পটকিক থেকে ব্যবধান কমান লরেন্সো ইনসিনিয়ে। কিন্তু ম্যাচের বয়স ২০ মিনিট হতেই ব্যবধান ৩-১ করে দেন লুইস সুয়ারেস।
উরুগুয়ান তারকার দারুণ ফিনিশিং মাঠে বসে উপভোগ করেন মেসি। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ছোট্ট করে বল বাড়িয়ে করা বন্ধুর গোলে হাসতে দেখা যায় মেসিকে। এর সাত মিনিটের মাথায় লাল কার্ডের খাড়ায় পড়েন মার্তিনেস।
একজন কম হয়ে যাওয়ায় মায়ামির খেলায় ছন্দপতন হয়। তবে রক্ষণ দৃঢ় রেখে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ধরায় জেরার্দো মার্তিনোর দল। ৪১তম মিনিটে আবারও স্পটকিক থেকে ব্যবধান কমান টরেন্টোর ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ইনসিনিয়ে।
৫৯তম মিনিটে চতুর্থ গোলের দেখা পেয়ে যায় মায়ামি। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রোয়াস। শেষ দিকে নোয়া অ্যালেনের আত্মঘাতি গোলে ব্যবধান কমাতে পারলেও হার এড়াতে পারেনি টরেন্টো।
এই জয়ে লিগস কাপের শেষ ষোলোয় উঠল মায়ামি।
আপনার মতামত লিখুন :