মানুষ হওয়ার প্রধান বিশিষ্ট হলো ক্রিটিকাল থিংকিং করতে পারা


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২১, ৮:৪৩ অপরাহ্ন
মানুষ হওয়ার প্রধান বিশিষ্ট হলো ক্রিটিকাল থিংকিং করতে পারা

শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারের কি ন্যূনতম ইচ্ছেও আছে? ইচ্ছে যে নেই তার প্রমান পাবেন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি হিসাবে সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজে যাদের নিয়োগ দেন তাদের গুণমান দেখলে। বিষয়টা কেবল আজকের না। তবে যেইটা ভয়ংকর সেইটা হলো দিনদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের যোগ্যতা এবং সততার বিরামহীনভাবে ক্রমেই কমে কমে এখন তলানিতে। ভিসি হওয়ার দৌড় থেকে শুরু করে ভিসি হওয়া পর্যন্ত তাদের একটিই কাজ সেটা হলো সকল পরিস্থিতিতে নিয়োগ কর্তার স্বার্থ দেখভাল করা। এইসব করতে করতে উনারা কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মানুষ হওয়ার প্রধান বিশিষ্ট হলো ক্রিটিকাল থিংকিং করতে পারা। দীর্ঘদিন এইটা করতে না পারার জন্য উনাদের মনুষ্যগুনের বিলুপ্তি ঘটে। এইসবের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজ আবার দেখলাম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার সমস্যা সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. অধ্যাপক মীজানুর রহমান উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি মনে হয় সব থেকে গরিবের বাচ্চাদের নিয়ে এসে ভর্তি করেছি। তোমরা এত মিসকিন, নিজেদের আত্মমর্যাদা পর্যন্ত নেই। আমি কী বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম যে, দরিদ্রদের ভর্তি করা হয়। এটা কি দরিদ্রদের এতিমখানা, মাদ্রাসা? তোমাদের বিয়ে হবে না। বিয়ে করতে গেলে বলবে, গরিবের বাচ্চা সব তোমরা।’

কথা শুনে মনে হচ্ছিল উনি যেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিক। আসলে যখন তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ ছেড়ে যুবলীগের হাল ধরবার খায়েস জানিয়েছিলেন তখনই তিনি ভিসি থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছিলেন। তারপরও উনাকে ভিসি মানার ফসল আজকের এই মন্তব্য। অথচ আমরা জানি আমাদের ছাত্ররা এখন কত কষ্টে আছে। অনেকে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ মিটিয়ে পরিবারেরও হাল ধরে। অথচ এই সময়ে অনেকের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ। অনেকের বাবা মা ছোটখাটো ব্যবসা করে সন্তানের খরচ পাঠান। করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ। নানামুখী সমস্যায় আছে আমাদের ছাত্ররা। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং বিভাগীয় পর্যায়েও অনেক ছাত্রকে আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে। এরমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির এইরকম মন্তব্য আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে।

2021-03-07 20:43:26
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: