বিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক জয়


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুন ৬, ২০২৪, ৩:০১ অপরাহ্ন
বিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক জয়

ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম জয়ের দেখা পেল উগান্ডা। লো স্কোরিং ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে ঐতিহাসিক এই জয় পায় আফ্রিকার দেশটি।

চলমান আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম ম্যাচে গায়ানায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনিকে ৩ উইকেটে হারায় উগান্ডা। ৭৮ রানের লক্ষ্য তারা পূরণ করে ১০ বল হাতে রেখে। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচেই ঐতিহাসিক জয় তুলে নিল ব্রায়ান মাসাবার দল।

চার্লস আমিনির লেগ স্টাম্পের ডেলিভারি প্যাডেল সুইপ করে ফাইন লেগে পাঠিয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উপহার দেন কেনেথ ওয়াইসওয়া। উগান্ডার ডাগআউটেও তখন ওঠে আনন্দের জোয়ার।

আসরে দুই দলেরই এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই করে ৫ উইকেটে হেরেছিল পাপুয়া নিউগিনি। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে উগান্ডা ১২৫ রানে উড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে স্পিন সহায়ক পিচে রান তাড়ায় একপর্যায়ে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে উগান্ডা। ষষ্ঠ উইকেটে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৪৫ রানের জুটি গড়েন সহ-অধিনায়ক রিয়াজাত আলি শাহ ও জুমা মিয়াজি। রান আউটে মিয়াজির (১৬ বলে ১৩) বিদায় এই জুটি ভাঙার পর দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান রিয়াজাত। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। এরপর কেনেথ ওয়াইসওয়াকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন অধিনায়ক মাসাবা।

পাহাড়সম চাপ সামলে ৫৬ বলে ৩৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন রিয়াজাত। স্ট্রাইক রেট ৫৮.৯২। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত ৩০ রান করা কিংবা ৪০ বল খেলা সবচেয়ে ধীর ইনিংস এটি। তাতে অবশ্য রিয়াজাত বা উগান্ডার সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঐতিহাসিক জয়ের বড় কারিগর যে তিনিই। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

আর বল হাতে বড় অবদান রাখেন ৪৩ বছর বয়সী ফ্রাঙ্ক সুবুগা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার ৪ ওভারে মাত্র ৪ রানে নেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপে ম্যাচে কোটা পূর্ণ করা বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক আসাদ ভালাকে হারায় পাপুয়া নিউগিনি। এরপর নিয়তিম বিরতিতে উইকেট হারায় ওশেনিয়া অঞ্চলের দলটি। তাদের ইনিংসে ২০ রানের জুটি নেই একটিও। সর্বোচ্চ ১৭ রানের জুটি আছে দ্বিতীয় ও চতুর্থ উইকেট। ১৯ বলে সর্বোচ্চ ১৫ রান হিরি হিরির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান এসেছে ‘মিস্টার এক্সট্রা’ থেকে।

উগান্ডার চার বোলার নেন দুটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাপুয়া নিউগিনি: ১৯.১ ওভারে ৭৭ (আসাদ ০, টনি ১, বাউ ৫, সিয়াকা ১২, হিরি ১৫, আমিনি ৫, ডোরিগা ১২, সোপের ৪, ভানুয়া ৫, নাও ৫, কারিকো ০*; রামজানি ৪-১-১৭-২, কিয়ুটা ৩.১-০-১৭-২, মিয়াজি ৪-০-১০-২, মাসাবা ৪-০-১৭-১, সুবুগা ৪-২-৪-২)

উগান্ডা: ১৮.২ ওভারে ৭৮/৭ (মুসাকা ০, সেসাজি১, ওবুয়া ১, রিয়াজাত ৩৩, রামজানি ৮, নাকরানি ০, মিয়াজি ১৩, ওয়াইসওয়া ৭*, মাসাবা ০*; নাও ৪-০-১৬-২, ভানুয়া ৪-০-১৯-২, সোপের ৪-০-১৩-১, আসাদ ২-০-১০-১, কারিকো ৪-০-১৮-০, আমিনি ০.২-০-২-০)

ফল: উগান্ডা ৩ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: রিয়াজাত আলি শাহ

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: