বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান এবং জড়িতদের বিচারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে লেবানন। বিক্ষোভের মুখে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। পাশাপাশি বৈরুতে বিস্ফোরণের তদন্তের অংশ হিসেবে ১৯ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তুপে রূপ নেয়া বৈরুতে এখন জ্বলছে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা। একজন বলেন, আমরা বাড়ি হারিয়েছি। আমরা অনেক জীবন হারিয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ কি? কিছুই না। প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমাদের লজ্জা হয়।
আরেকজন বলেন, বছরের পর বছর ধরে এমন অনিয়ম চলে আসছে। কিন্তু সরকারের কাছে কোন বার্তাই পৌঁছায় না। কোন পরিবর্তন নেই। কিন্তু আমাদের যুদ্ধ চলতে থাকবে। বিক্ষোভ শুরুর পরপরই সহিংস হয়ে ওঠেন প্রতিবাদীরা। ভাঙচুর চালান বিভিন্ন স্থানে। দখল করে নেন পররাষ্ট্র, অর্থসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়, ব্যাংক এবং সরকারি অফিস।
যদিও সেনাবাহিনী আন্দোলনকারীদের সেসব স্থাপনা ছাড়তে বাধ্য করে। এরপর পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা চালায় তারা। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহতের খবর জানায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
এ অবস্থায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনার কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। ডাক দেন জাতীয় ঐক্যের।
হাসান দিয়াব বলেন, দেশের এই সঙ্কটের সময় আমি সব রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাবো। এরই মধ্যে আমি আগাম নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছি।
এদিকে লেবাননে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৈরুতের মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননের সাধারণ মানুষের চাহিদার প্রতি সম্মান জানাবে ওয়াশিংটন। এরইমধ্যে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৈরুতে গত মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান দেড় শতাধিক মানুষ।
2021-05-04 18:02:44
আপনার মতামত লিখুন :