বিশ্বকাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ের মধ্য দিয়ে কুইন্টন ডি ককের ওয়ানডে-অধ্যায়েরও সমাপ্তি হলো।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রোটিয়া কিপার-ব্যাটার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই ফরম্যাট থেকে তিনি বিদায় নেবেন বৈশ্বিক আসর শেষে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে ডি কক সরে এসেছেন, এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই ধরেই নেওয়া যায়, ১৫৫ ইনিংসে ৯৬.৬৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৫.৭৪ গড়ে ৬,৭৭০ রানে থামছে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার।
তবে চার সেঞ্চুরিসহ ৫৯৪ রান করে রাঙিয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে নেমে ডি কক কি ঈষৎ আক্ষেপ নিয়ে এই সংস্করণ থেকে বিদায় নিলেন? এবারের আসরে সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার হিসাবেও ২০টি ডিসমিসাল রয়েছে তার।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম উইকেটকিপার হিসাবে এক আসরে ৫০০ রান ও ২০ ডিসমিসালের দ্বৈত রেকর্ড গড়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও এমএস ধোনিকে ছাপিয়ে যান ডি কক। ওডিআইতে তার সেঞ্চুরি ২১টি, ফিফটি ৩০টি। ক্যাচ ২০৯। স্টাম্পিং ১৭টি। সর্বোচ্চ ছয়টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের বিপক্ষে। শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের এক সিরিজে তিনটিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ডি কক!
১৫৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৯৬ ওডিআইতে জয় পেয়েছেন এই কিপার-ব্যাটার। জয়ী ম্যাচে তার গড় ৫৩.৫৩, স্ট্রাইক রেট ১০০+। তার ক্যারিয়ারের ২১ সেঞ্চুরির মধ্যে ১৮টি সেঞ্চুরিতেই দল জয় পেয়েছে। ব্যাট আর গ্লাভস হাতে আলো ছড়িয়ে ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও দলকে ফাইনালে তুলতে না পারার আক্ষেপ হয়তো থেকেই যাবে ডি ককের।
আপনার মতামত লিখুন :