করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শারীরিক অবস্থা দিন দিন উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি। তিনি বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। কারণ তার ফুসফুসের নিউমোনিয়ার অবস্থা এখনও পুরোপুরি উন্নতি হয়নি।’
ডা. মামুন বলেন, ‘ডা.জাফরুল্লাহর বয়স ৮০ বছরের মতো। তার কিডনিতে সমস্যা। এরসঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের ফলে তার ফুসফুসে নিউমোনিয়া এবং গলায় ব্যাথা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। তবে আশার কথা হচ্ছে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।’
এর আগে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। সকালে তিনি নিজেই নাস্তা করেছেন। এরপর রুমেই কিছুক্ষণ হাঁটা-চলা করেছেন। আগে অন্যের সাহায্য নিয়ে বাথরুমে যেতে হলেও এখন তিনি কারও সাহায্য ছাড়াই তা পারছেন।’
ডা. জাফরুল্লাহ খাবার নিয়মিত তার বাসা থেকে আসছে জানিয়ে মো. ফরহাদ বলেন, ‘তবে মাঝে মধ্যে বাসা থেকে খাবার আসতে দেরি হলে হাসপাতালের খাবার খান।’
জানা গেছে, ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন ডা. জাফরুল্লাহর। নিয়মিত তার ডায়ালাইসিস এবং চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে।
উল্লেখ্য, ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়।
এদিকে ডা. জাফরুল্লাহর স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। বর্তমানে তারা সুস্থ আছেন। তারা বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসক।
2021-03-04 07:00:50
আপনার মতামত লিখুন :