সম্প্রতি ১১টি চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা হয়েছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বহুদিন ধরেই পশ্চিমাঞ্চলে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর বেইজিং নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন, মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশও অ’ভিযোগ করে আসছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনের শক্তিশালী পলিটব্যুরোর এক সদস্যসহ দেশটির চার কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাদের বি’রুদ্ধে উইঘুরসহ আরও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নজরদারি, বন্দী করা, জো’রপূর্বক দীক্ষাদানের মতো গুরুতর অ’ভিযোগ দেয়া হয়।
জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করায় মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চ্যাংজি এসকুয়েল টেক্সটাইল, হেফেই বিটল্যান্ড ইনফরফেশন টেকনোলজি, হেফেই মেইলিং, হেতিয়ান হাওলিন হেয়ার অ্যাক্সেসোরিজ, হেতিয়ান তাইদা অ্যাপারেল, কেটিকে গ্রুপ, নানজিং সিনার্জি টেক্সটাইলস, ন্যানচ্যাং ও-ফিল্ম টেক এবং তানিউয়ান টেকনোলজির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অন্যদিকে উইঘুরদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে শিনজিয়াং সিল্ক রোড এবং বেইজিং লিউহের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উইঘুরদের প্রতি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানান। এই ঘটনাকে তিনি শতাব্দীর কলঙ্ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বেইজিং প্রথম থেকেই এইসব অ’ভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
2021-05-04 17:49:20




































আপনার মতামত লিখুন :