গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যাকারী যুদ্ধের বিস্তার ঘটুক ইরান তা চায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যে আচরণ করছে তাতে এ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে শুধু শিশু রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি। আহত হয়েছেন আরও ২৯,৮০০ জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক যান দিয়ে ইসরয়েইলকে সহায়তা করেছে।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তেল আবিব কিংবা ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতির আহ্বান মেনে নিচ্ছে না। মার্কিন সরকার গাজার ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া, গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একাধিক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা।
সাক্ষাৎকারে ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, গাজা যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোতে ওয়াশিংটন তৃতীয় চ্যানেলের মাধ্যম তেহরানকে এই বার্তা দিতে শুরু করে যে যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধের বিস্তৃতি চায় না। ওইসব বার্তায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি নৈতিক সমর্থন দানকারী ইরানকে আত্মসংবরণ করার আহ্বান জানানো হয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার বার্তার জবাবে আমরা বলেছি, আমরাও গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক তা চাই না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল যেভাবে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে তাতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে এবং যুদ্ধ গোটা অঞ্চলে অবশ্যম্ভাবী রূপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান জানান, মার্কিন সরকার লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকেও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :