করোনা মহামারি বদলে দিয়েছে কাজের ধরন, অফিস প্রথা কি বিলুপ্ত করবে?


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২১, ৬:২৯ পূর্বাহ্ন
করোনা মহামারি বদলে দিয়েছে কাজের ধরন, অফিস প্রথা কি বিলুপ্ত করবে?

অনেকেই অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই অফিসের কাজ করছেন। গুগল, মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের আগামী বছর পর্যন্ত বাড়িতে বসেই কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। অফিসের রুপান্তরিত এই ধরন নিয়ে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা। 

নিয়ম মেনেই অফিস করছেন বেশিরভাগ লোক। অষ্ট্রেলীয়াতে বেশীর ভাগেই এখনো বাড়ীতে বসেই অফিসের কাজ করছেন। ফ্রান্সের প্রায় ৮৮ শতাংশ অফিসকর্মী তাদের ডেস্কে ফিরেছেন। ব্রিটিশদের মধ্যে তা ৪০ শতাংশেরও কম। তবে সম্প্রতি এটি দ্রুত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং উত্তপ্ত বিতর্কের উৎস হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী কর্মী, মালিক, বাড়িওয়ালা এবং সরকারগুলো অফিস অচল হয়ে পড়লে কাজ কীভাবে হবে তার চেষ্টা চালাচ্ছে।

টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি বলেছেন, কোম্পানির কর্মীরা বাড়ি থেকে চিরকালের জন্য কাজ করতে পারেন। তবে নেটফ্লিক্সের প্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস বলেছেন যে, হোম-ওয়ার্কিং প্রকৃত অর্থে নেতিবাচক। হোম অফিস ধারণা চালু হওয়ায় নির্মাণ কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই অনিশ্চিত অবস্থায় পড়ে গিয়েছে। যার কারণে ৩০ লাখ কোটি ডলারের বৈশ্বিক বাণিজ্যিক-সম্পত্তির বাজার আরও গভীর এক মন্দার আশঙ্কায় ডুবে গেছে। কিছু কর্মী অযৌক্তিকভাবে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হলেও অন্যরা পদোন্নতি, বেতন এবং চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মতো বিষয়গুলো নিয়ে এখন বিচলিত।

মহামারির এই সময়ে কতগুলো অফিস টিকে আছে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ফলস্বরূপ কোভিড-১৯ বিপর্যয় প্রযুক্তি ও সামাজিক পরীক্ষার দীর্ঘমেয়াদী পর্যায়ে প্ররোচিত করবে, নাকি স্বাভাবিক হিসেবে ব্যবসায় এবং না অফিসে মারাত্মক আঘাত।

কর্মীরা নিজেরা কি কাজ করছে এর রেকর্ড রাখার জন্য পরিকল্পনা সভা এবং মেমো প্রকাশ, চালান এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন ছিল তাদের। এসব কারণে এই সমস্ত শ্রমিক-কর্মীকে একসঙ্গে থাকা এবং কেন্দ্রীয় অফিসে মিলিত হওয়ার জন্য গাড়ি বা ট্রেনে করে যাতায়াতের ধাঁচ তৈরি করার প্রয়োজন পড়ে।

অনেকেই অফিসের আনুষ্ঠানিকতা পছন্দ করেন না আবার এর মধ্যে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হন। অফিসে গিয়ে কাজ করা কর্মীরা এটা অনুধাবন করেন যে, তারা তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করতে পারেন না। আর যেসব পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনে কর্মী, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ক্রমাগত প্রকট। তবুও আলস্যের কারণে ভয়াবহ নানারকম বাধা-বিপত্তি নিয়ে এখনও অফিসে আগের মতো কাজ চলছে। কোভিড-১৯ আঘাত হানার আগে, নমনীয়-অফিসগুলোর বাজারের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৫ শতাংশের নিচে। গ্রাহকদের আগে বেশিরভাগ কোম্পানি পাইকারি ব্যবসায় দূরবর্তী প্রযুক্তিতে কাজ শুরু করতে রাজি ছিল না।

কোভিড – ১৯ ভ্যাকসিন আসার পর এটা কতটা চলবে তা বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঘরে বসেই যে অনেক কাজ করা সম্ভব এটা মহামারিকালে প্রত্যক্ষ হয়েছে। এটা যে চলমান রাখলে কোনো সমস্যা হবে না তাও প্রমাণিত।

2021-01-30 06:29:31

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: