আরও কঠোর হচ্ছে ইসরাইল, বেড়েই চলেছে বিধিনিষেধ


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ২:২৯ অপরাহ্ন
আরও কঠোর হচ্ছে ইসরাইল, বেড়েই চলেছে বিধিনিষেধ

গাজার পশ্চিম তীরেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তিন সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় চলছে হামলা-তল্লাশি। ইসরাইলি সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীরা যা ইচ্ছে তাই করছে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হয়েছে।

বন্ধ করে দিয়েছে দোকানপাট। থমকে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। ধ্বংস করে দিচ্ছে চাষিদের জমিজমা। সবকিছু মিলিয়ে চরম অর্থনৈতিক সংকটে দিন পার করছেন পশ্চিম তীরের বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা।

ইসরাইলিদের ক্রমবর্ধমান বাধা-ধরা নিয়মে অনেকেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছেন না। এমনকি অবস্থা এতটাই করুণ যে খাবার কেনারও সামর্থ্য নেই অনেকের। চোখেমুখে হতাশা নিয়ে বুরিন গ্রামের কাউন্সিলর প্রধান ইব্রাহিম ওমরান মিডল ইস্ট আইকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার গ্রাম উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ।

নাবলুস শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণের এ গ্রামের দোকানপাটগুলো প্রায় সবসময় বন্ধ থাকছে। গ্রাম থেকে শহরে এবং এমনকি আশপাশের গ্রামের মধ্যে ভ্রমণ করতেও ভয় পাচ্ছেন সবাই।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের সবখানেই এখন দারিদ্র্য। খাবার নেই, বেতন নেই। আমার পকেটে আছে মাত্র ১২ শেকেল! কাউন্সিল জনগণের কাছে বিদ্যুৎ বা জলের জন্য টাকা চাইতে পারছে না! কারণ জনগণ এখন অর্থ দিতে পারছে না।’ ওমরানের মতে, তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয় যখন ইসরাইল ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে বুরিনের প্রায় ৫০০ নির্মাণ শ্রমিক তাদের চাকরি হারান। তাছাড়াও অধিকৃত অঞ্চলটিতে তীব্রহারে সহিংসতা বেড়ে গেছে। ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩,০০০টিরও বেশি জলপাই গাছ ধ্বংস করেছে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকারীরা। এমনকি সেখানকার অনেক বাসিন্দারাও এ ধরনের হামলা চালায়।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: