এক যুদ্ধে বদলে যেতে পারে বিশ্ব, অস্ট্রেলিয়ার দুইবারের প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা


অনলাইন ডেক্স প্রকাশের সময় : জুন ৮, ২০২৪, ৫:৪১ অপরাহ্ন
এক যুদ্ধে বদলে যেতে পারে বিশ্ব, অস্ট্রেলিয়ার দুইবারের প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা

তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা যুদ্ধের বৈশ্বিক পরিণতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই ব্যাপক হবে। এমনকি এই যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব পুরোপুরি বদলে ভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক বক্তব্যে এই সতর্কবার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত কেভিন রুড। তিনি গত দশকে দেশটির দুইবারের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।

কেভিন বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই মাসে ৭১ বছরে পা দিয়েছেন। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের চূড়ান্ত জাতীয় ঐক্য অর্জন করতে চাইলে তিনি সম্ভবত পরবর্তী দশকে কাজ করবেন। বয়স ৮০ বছর হওয়ার আগেই তিনি সেটা করতে পারেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মহড়ার ধরনসহ চীনের সামরিক ইঙ্গিত উপেক্ষা করা বোকামি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর চীনের কার্যক্রম নির্ভর করবে।

কেভিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকার করেছে যে চীন যদি তাইওয়ান দখলে সফল হয় তাহলে এটি মার্কিন বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশ্বজুড়ে মার্কিন জোটের ওপর যে নির্ভরতা তার ওপর গভীর ও সম্ভাব্য অপরিবর্তনীয় প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, তাইওয়ান ঘিরে ভবিষ্যৎ সামরিক সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও তাইওয়ানের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। এই যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রভাব ও অজানা ভূ-কৌশলগত যে পরিণতি হবে তার মাত্রা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেখিনি। যুদ্ধে যে দেশই জয়ী হোক না কেন এই ধরনের যুদ্ধের পরে বিশ্ব পুরোপুরি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। এই দ্বীপটিকে নিজেদের দখলে নিতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুমকি দিয়ে রেখেছে বেইজিং। তবে তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবিতে তীব্র আপত্তি রয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির। তাইওয়ান সরকারের দাবি, শুধু এই দ্বীপের নাগরিকরাই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারবেন।

তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তারপরও তাদের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার ওয়াশিংটন। দ্বীপ দেশটিতে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে আমেরিকা।

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন: